ত্রৈলক্ষ্যবিজয় গণহত্যা (মৌলভীবাজার সদর)
ত্রৈলক্ষ্যবিজয় গণহত্যা (মৌলভীবাজার সদর) সংঘটিত হয় ২৭শে এপ্রিল। এতে ১৫ থেকে ২০ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান। হত্যাকাণ্ডের পর গ্রামে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ঘটনার দিন পাকসেনারা কামালপুর ইউনিয়নের ত্রৈলক্ষ্যবিজয় গ্রামে ঢুকে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে থাকে। যাকে সামনে পায় তার দিকেই তারা গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে দেবেন্দ্র সেন ও তার স্ত্রী, দুই সহোদর প্রমোদ রঞ্জন সেন (পিতা পিয়ারী চরণ সেন) ও পরেশ চন্দ্র সেন, বিহারী লাল সেন (পিতা মশারাম সেন) ও তার পুত্র বিনয় কুমার সেন, বিজয়কৃষ্ণ সেন, হৃদয় দেব, সমর দত্ত, রমন দত্ত, সুরেশ চন্দ্র ধর, বংক দেব (পিতা বসন্ত কুমার দেব) প্রমুখ নিহত হন। তাদের লাশ বিভিন্ন জায়গায় পড়ে ছিল। দুদিন পর লাশগুলো মাটিচাপা দেয়া হয়। নিহতদের ও অন্যদের বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। পরে গ্রামের সকল হিন্দু বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। শেরপুর থেকে পাকসেনাদের সঙ্গে আসা দালাল কালা মোল্লা, আরশদ আলী, ছিকন মিয়া, সাজিদ উল্লাহ, কাছিম মিয়া, ফুলরি মিয়া ও চেয়ারম্যান আকলু মিয়া ত্রৈলক্ষ্যবিজয় গ্রামে এ গণহত্যা, লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ডে পাকসেনাদের সহায়তা করে। [আবদুল হামিদ মাহবুব]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড