দক্ষিণ কাঠীপাড়া গণহত্যা (রাজাপুর, ঝালকাঠি)
দক্ষিণ কাঠীপাড়া গণহত্যা (রাজাপুর, ঝালকাঠি) সংঘটিত হয় ১৭ই মে। এতে ৩৫ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
দক্ষিণ কাঠীপাড়া গ্রামটি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার ২নং শুক্তাগড় ইউনিয়নের অন্তর্গত। ১৭ই মে সোমবার ভোররাতে রাজাকার কমান্ডার খালেক মাস্টারের নেতৃত্বে পাকবাহিনী এ গ্রামে হানা দিলে স্থানীয় লোকজন প্রাণভয়ে ঠাকুরবাড়ী জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সকাল ৯টার দিকে হানাদার বাহিনী জঙ্গল ঘেরাও করে ব্রাশ ফায়ার করে সবাইকে হত্যা করে এবং ১০টার দিকে ঐখানেই তাদের মাটিচাপা দেয়। স্থানটি চিহ্নিত অবস্থায় রয়েছে। ২০১০ সালের শেষদিকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের লোকজন এসে শহীদদের কঙ্কালগুলো নিয়ে যায়। এ গণহত্যায় ৩৫ জন শহীদের মধ্যে ১৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন— জিতেন্দ্রনাথ বড়াল (পিতা বিপিন চন্দ্র বড়াল, কাঠীপাড়া), কালী কান্ত মণ্ডল (পিতা রাধা চন্দ্র মণ্ডল, কাঠীপাড়া), অনুপ বড়াল (পিতা ভারত চন্দ্র বড়াল, কাঠীপাড়া), ক্ষিতীশ চন্দ্র হালদার (পিতা শ্রীনাথ হালদার, কাঠীপাড়া), ব্রজেন্দ্রনাথ হালদার (পিতা শ্রীনাথ হালদার, কাঠীপাড়া), ললিত মণ্ডল (পিতা রামকানাই মণ্ডল, কাঠীপাড়া), হরিমোহন হালদার (পিতা রামবসন্ত হালদার, কাঠীপাড়া), কার্তিক চন্দ্র হালদার (পিতা হরিচন্দ্র হালদার, নারিকেলবাড়ীয়া), কামিনী কুমার (পিতা রামকৃষ্ণ, নারিকেলবাড়ীয়া), ডা. যোগেন্দ নাথ মিস্ত্রী (পিতা নন্দ কুমার মিস্ত্রী, নারিকেলবাড়ীয়া), ধীরেন্দ্র নাথ মিস্ত্রী (পিতা কালীকান্ত মিস্ত্রী, নৈকাঠী), যোগেশ্বর মিস্ত্রী (পিতা হরিচরণ মিস্ত্রী, নৈকাঠী), অমর নাথ (পিতা রাধাচরণ নাথ, নৈকাঠী), কালাচান হালদার (পিতা জিতেন্দ্রনাথ হালদার, নৈকাঠী), সূর্যচরণ ঘরামী (নৈকাঠী), মধুসূদন হালদার (পিতা গঙ্গাচরণ হালদার, নৈকাঠী) এবং ধীরেন্দ্র নাথ গাইন (নৈকাঠী)। [নুরুল ইসলাম খলিফা]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড