ত্রিমোহনী রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (কেশবপুর, যশোর)
ত্রিমোহনী রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (কেশবপুর, যশোর) পরিচালিত হয় কেশবপুর থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনিছুর রহমান খানের (বনরডালি) নেতৃত্বে। এতে রাজাকার বাহিনী কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। ফলে অস্ত্রশস্ত্রসহ রাজাকার ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে।
ত্রিমোহনী কেশবপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এ এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য স্থানটির গুরুত্ব ছিল অনেক। এ পথ দিয়েই মানুষ সহজে ভারতে যেত। ত্রিমোহনী বাজারে রাজাকার বাহিনীর একটি ক্যাম্প ছিল। এ ক্যাম্প থেকে তারা এলাকার সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালাত। রাজাকার ক্যাম্প স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এতদঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে; মুক্তিবাহিনী-র চলাচলে অসুবিধা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভারতগামী অনেক শরণার্থী এখানে রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ে এবং নির্যাতনের শিকার হয়। এ পরিস্থিতিতে সাব- সেক্টর কমান্ডার শফিউল্লাহর নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনিছুর রহমান খাঁনের (বনরডালি) নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার ক্যাম্প অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। কমান্ডার আনিসুর রহমান তাঁর দলের ৪৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে তিন ভাগে ভাগ করে তিন দিক থেকে আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা গুলিবর্ষণ শুরু করলে রাজাকার বাহিনী কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। ফলে অস্ত্রশস্ত্রসহ ত্রিমোহনী রাজাকার ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে। [ঈশিতা আক্তার মুক্তি]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড