তোড়িয়া গণহত্যা (আটোয়ারী, পঞ্চগড়)
তোড়িয়া গণহত্যা (আটোয়ারী, পঞ্চগড়) সংঘটিত হয় ১৭ই নভেম্বর। এ গণহত্যায় কমপক্ষে ২৫ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান। এছাড়া ৭-৮ জন নারী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন।
ঘটনার দিন ভোরে ডুহাপাড়া ব্রিজের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাকসেনারা পরাজিত হয়। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পাকসেনারা তোড়িয়া, ডুহাপাড়া ও নিতুপাড়ায় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ২৫ জনকে হত্যা করে। তাদের সহায়তা করে স্থানীয় ও বিহারি রাজাকাররা। এদিন ৭-৮ জন নারী তাদের দ্বারা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন।
তোড়িয়া গণহত্যায় নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন— আব্বাস আলী (তোড়িয়া), হায়াতন বিবি (তোড়িয়া), মোজাম্মেল (ডুহাপাড়া), মো. আইনুল হক (পিতা মো. হাইম উদ্দীন), বৈশাখ (তোড়িয়া), বড় বাউ (তোড়িয়া), মো. হিয়াতলী (পিতা মো. যশরতদ্দীন), মো. হিসাব উদ্দীন (পিতা মো. হিয়াতলী), পেলকা, আহাম্মদীন (পিতা পেলকা), হালিম উদ্দীন (পিতা ঝালুয়া), ইমাম উদ্দীন (পিতা মহরবুলা), কলিম উদ্দীন (পিতা মহরবুলা), মসির উদ্দীন মুন্সি (পিতা ডোলো মোহাম্মদ), মিশু উদ্দিন মৌলভী (তোড়িয়া), ইহাদুল বালা (ডুহাপাড়া), নিতা বুড়া (নিতুপাড়া), খাটু মোহাম্মদ (নিতুপাড়া), খুরশেদ আলী (পিতা ডাঙ্গু), আসির উদ্দীন খাটু (পিতা ইজার উদ্দীন, নিতুপাড়া), কালো বেওয়া ও একমুদ্দীন। [মো. ওসমান গনী]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড