তেঁতুলবাড়িয়া গণহত্যা (মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট)
তেঁতুলবাড়িয়া গণহত্যা (মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট) সংঘটিত হয় আগস্ট মাসের শেষদিকে। এতে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
১৫ই আগস্ট মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে মোড়েলগঞ্জের রাজাকার ক্যাম্প বিধ্বস্ত হয় এবং শতাধিক রাজাকার বন্দি ও নিহত হয়। এর ফলে মোড়েলগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বেশকিছু দিন মুক্ত থাকার পর পুনরায় তা হানাদারদের দখলে চলে যায়। এরপর হানাদাররা এখানে গণহত্যা চালায়। মোড়েলগঞ্জ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীকে সহায়তার অভিযোগে পাকবাহিনী কয়েকজন নিরীহ গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে। এরপর তাদেরকে তেতুলবাড়িয়া বাজারে নিয়ে গিয়ে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করে এবং নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে। বাজারের কাছে বসবাসরত দুজন মুচিকেও তারা হত্যা করে। শায়েজউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে তারা বন্দি করে মোড়েলগঞ্জ রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তাকে গুলি করে হত্যা করে। তেতুলবাড়িয়া গণহত্যায় নিহতদের কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আব্দুর রহমান হাওলাদার (সুতালড়ি), তছিমুদ্দিন সরদার (সুতালড়ি), রাধামোহন ঋষি (পিতা মনোহর ঋষি, তেতুলবাড়িয়া), কেশব চন্দ্র ঋষি (পিতা রাধামোহন ঋষি, তেতুলবাড়িয়া) ও শায়েজউদ্দিন (তেতুলবাড়িয়া)। [শেখ মশিউর রহমান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড