You dont have javascript enabled! Please enable it!

তেঁতুলবাড়িয়া যুদ্ধ (গাংনী, মেহেরপুর)

তেঁতুলবাড়িয়া যুদ্ধ (গাংনী, মেহেরপুর) সংঘটিত হয় ২২শে সেপ্টেম্বর। মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অত্যন্ত বীরত্বব্যাঞ্জক ও সফল যুদ্ধ এটি। গাংনী উপজেলা সদর থেকে ১৬ কিমি উত্তরে ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের সর্বশেষ প্রান্তে অবস্থিত নূরুল হুদা চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ-যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ফুলবাড়িয়া একশন ক্যাম্প থেকে নায়েব সুবেদার আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে নিয়মিত বাহিনীর একদল মুক্তিযোদ্ধা এবং হাবিলদার আজগর আলীর নেতৃত্বে আরেক দল মুক্তিযোদ্ধা এ-যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এতে ২ জন পাকসেনা নিহত এবং ৫ জন আহত হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা এবং তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদার বাড়ি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্গ। এ দুর্গে হানা দেয়ার জন্য বামুন্দি ক্যাম্পের পাকসেনারা ২২শে সেপ্টেম্বর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সৈন্যদের চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে প্রতিআক্রমণ শুরু করলে হানাদাররা বেশকিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে পালিয়ে যায়। যুদ্ধে ২ জন শত্রুসৈন্য নিহত এবং ৫ জন আহত হয়। এখান থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ২টি ৩০৩ রাইফেল, ১০ রাউন্ড গুলি এবং ম্যাগাজিনসহ একটি স্টেনগান হস্তগত করেন। তেঁতুলবাড়িয়া যুদ্ধ সম্পর্কে ১৫ই অক্টোবর জয় বাংলা পত্রিকায় খবর ছাপা হয়। [রফিকুর রশীদ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!