মুক্তিযুদ্ধে তালা উপজেলা (সাতক্ষীরা)
তালা উপজেলা (সাতক্ষীরা) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত এবং ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। সাতক্ষীরা সদর থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ-এ পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ইঙ্গিত ছিল। তাই এ ভাষণের পরপর তালায় আওয়ামী লীগ-এর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা সংগঠিত হতে থাকে। স ম কাজী আলাউদ্দীন এমপিএ (মিঠাবাড়ি), ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান (কাশিপুর), আব্দুল সালাম মোড়ল (কানাইদিয়া), ইউনুস আলী ইনু (খালিশপুর, খুলনা; বি এল কলেজের ছাত্রনেতা), সুজায়েত মাস্টার (খেশরা), চেয়ারম্যান বজলুল করিম, মকবুল হোসেন(চাদকাটি), সুভাষ চন্দ্র সরকার(পিতা জ্ঞানেন্দ্রনাথ সরকার, গোয়ালপোতা), শেখ কামরুজ্জামান টুকু (খুলনা), শামছুর রহমান মাস্টার (মাগুরা), আব্দুল করিম (ইউপি চেয়ারম্যান), ময়নুল ইসলাম প্রমুখের সমন্বয়ে শান্তি বাবুর বাড়িতে আসন্ন যুদ্ধের সার্বিক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী দক্ষিণ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ কামরুজ্জামান টুকু এলাকার ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করা ও প্রশিক্ষণ দানের জন্য ইউনুস আলী ইনুকে দায়িত্ব দেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে আগ্রহীদের খেশরা ইউনিয়নের বাথুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পে ১৫-২০ দিনের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্ৰশিক্ষণ দেন আবু আলম সরদার, সুজায়েত আলি মাস্টার (মুড়াগাছা) ও তাঁদের সহযোগীরা। প্রশিক্ষণ শেষে যুদ্ধের জন্য উপযুক্তদের বিভিন্ন কমান্ডারের তত্ত্বাবধানে অপারেশনে পাঠানো হয়। অন্যদের ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার দায়িত্ব দেয়া হয়।
তালা উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- স ম কাজী আলাউদ্দীন এমপিএ, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান (কাশিপুর), আব্দুস সালাম মোড়ল (জালালপুর), ইউনুস আলী ইনু (খালিশপুর; তালায় মুজিব বাহিনী-র নেতা), সুজায়েত মাস্টার (খেশরা), শামছুর রহমান মাস্টার (মাগুরা), মকবুল হোসেন (মাগুরা) ও আব্দুল করিম। মার্চ মাসের প্রথম দিকে স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে এর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন স ম কাজী আলাউদ্দীন ও আব্দুল করিম।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তালায় গ্রুপ কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে সুভাষ চন্দ্র সরক (পিতা জ্ঞানেন্দ্রনা সরকার, গোয়ালপেতা), মো. আব্দুস সোবহান মাস্টার (পিতা পরশউল্লাহ, বারাত), শেখ মোর্তজা আলী (পিতা শেখ জাফর আলী, চৌগাছা), মো. এরফান আলী সরদার (পিতা আব্দুল জব্বার সরদার, নওয়াকাটি), মো. মতিয়ার রহমান (পিতা রহিম বক্স সরদার, মিঠাবাড়ি)। এঁদের মধ্যে সুভাষ চন্দ্ৰ সরকার মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ভারতে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি বসিরহাটের ঘোজাডাঙ্গা ক্যাম্প থেকে সীমান্ত প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। তালা উপজেলার মাগুরা যুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। তালা উপজেলায় মুক্তাঞ্চল গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
তালায় মুক্তিবাহিনী ও মুজিব বাহিনী উভয়ই ছিল। মুক্তি বাহিনীর (এফএফ) নেতৃত্বে ছিলেন স ম কাজী আলাউদ্দীন এমপিএ, সুভাষ চন্দ্র সরকার (গ্রুপ লিডার), আব্দুস সোবহান মাস্টার (গ্রুপ লিডার) ও শেখ মোর্তজা আলী (গ্রুপ লিডার)। আর মুজিব বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন ইউনুস আলী ইনু ও ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান। এখানে মুক্তিযোদ্ধারা বেশ সংগঠিত ও সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তালা, কপোতাক্ষ নদের দক্ষিণপাড়ে মাগুরা, জালালপুর, খলিশখালি এবং খেশরা ইউনিয়ন ও ইসলামকাটি ইউনিয়নের কিছু এলাকায় মুক্তাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। এখানে পাকবাহিনী বা রাজাকার বাহিনীর কোনো প্রভাব ছিল না। মুক্তিবাহিনী ও মুজিব বাহিনীর মূল ঘাঁটি ছিল বাতুয়াডাঙ্গা। এখানে ছাত্র-যুবকদের প্রশিক্ষণও দেয়া হতো।
২৩শে এপ্রিল পাকবাহিনীর একটি কনভয় সাতক্ষীরার অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজারে পৌঁছে এবং পাটকেলঘাটা ব্রিজের নিকটবর্তী ডাকবাংলো ও কুমিরা হাইস্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করে। এদের সহায়তা করার জন্য মে মাসে মাওলানা এ কে এম ইউসুফের নেতৃত্বে জামায়াত কর্মী এবং কপোতাক্ষ নদের উত্তরপাড় ও কপিলমুনির কিছু সংখ্যক স্বাধীনতাবিরোধীকে নিয়ে খুলনার আনসার ক্যাম্পে একটি বড় রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। এ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে জল্লাদ আব্দুল হামিদ কারিগর, আমজাদ হোসেন কারিগর, বাবর আলি, হায়দার আলী, আব্দুল গফুর, রজব আলী, জল্লাদ শাহনাজ আলী, আব্দুল মাবুদ মোল্লা, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল মোমিন (নগরঘাটা), চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, শওকত হোসেন, নুরুল ইসলাম নুরু (শিরাসুনি), নুরুল ইসলাম খান, আব্দুল কাদের, মাহবুবুর রহমান খান, তৈমুর রহমান গাজী, শাহজাহান আলী, কেয়ামুদ্দীন গাজী, শেখ ময়জুদ্দীন মুহুরী, লিয়াকত আলী খান, মোজামউদ্দীন গাজী, রেজাউল ইসলাম খান, আনছার আলী সরদার, মতিয়ার রহমান মোড়ল (ইসলামকাটি), ইমান আলী মেম্বার (তেলকুপি), ফরিদ মুহুরী (কানাইদিয়া), ইসমাইল হোসেন খান (কাশিপুর), শেখ রিয়াজুদ্দীন (জুসখোলা), মহাতাব আলী গাজী (শাহপুর), এজাহার আলী (পাখিমারা), আতিয়ার রহমান (চাদকাঠি), মোক্তার আলী (দুধলি), আব্দুস সোবহান বিশ্বাস (পরানপুর) প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।
এডভোকেট শেখ আনসার আলী (উথলি)-র সভাপতিত্বে তালা থানায় একটি শান্তি কমিটিও গঠিত হয়। এর উল্লেখযোগ্য সদস্যরা হলো- হাজী শের আলী, আব্দুল শেখ, আকছেদ আলী সরদার (উথলি), এরশাদ আলী মেম্বর (নাংলা), মোজাম শেখ (সুজনশাহ), চেয়ারম্যান মাদার মোড়ল (হাতবাস), চেয়ারম্যান আব্দুল বারী (নগরঘাটা), ডা. আমিনউদ্দীন খান (কাজীডাঙ্গা), কাদের বকস গাজী (বারাত), সাহাবুদ্দীন বিশ্বাস (বালিয়াদহ), সবদল গাজী, সফিকুল, বাবর আলী, রফিকুল ইসলাম (নগরঘাটা), আদু বিশ্বাস (তেলকুপি), মাওলানা শওকত আলী (অভয়তলা), চেয়ারম্যান জবেদ আলী মোড়ল, মহিউদ্দীন (নওয়াকাটি), চেয়ারম্যান ইউসুফ সরদার (শাহজাদপুর), আরশাদ আলী মোড়ল, ছবের আলী ফকির, চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক (জেঠুয়া) প্রমুখ।
পাকবাহিনী ২৩শে এপ্রিল পাটকেলঘাটা বাজারে প্রবেশ করেই হত্যাকাণ্ডসহ তাণ্ডবলীলা শুরু করে। তারা বাজারের মুনু কসাই নামে এক বিহারি রুটি বিক্রেতা এবং স্থানীয় কয়েকজন মুসলিম লীগ কর্মীকে গাড়িতে উঠিয়ে কুমিরার এক দাতব্য চিকিৎসালয়ের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছে হায়দার আলী বিশ্বাস নামে এক মুসলিম লীগ কর্মীর কাছে কুণ্ডু বাড়ির অবস্থান জানতে চায়। কুণ্ডু বাড়ি দেখিয়ে দেয়ার পর পাকসেনারা হায়দার আলীকে ঐ বাড়িতে আগুন লাগাতে বলে। কিন্তু হায়দার আলী অস্বীকার করলে তার সমস্ত শরীরে শুকনো পাট জড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আগুনে পুড়ে হায়দার আলীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এরপর পাকসেনারা আরো ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে দড়ি দিয়ে পিঠমোড়া করে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে। তাঁদের মধ্যে তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামের পিতা আব্দুর রহমান ভাই জালালউদ্দীন ছিলেন। এরপর পাকসেনারা কুণ্ডু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং আরো ৩৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। এ ঘটনা কুমিরা গণহত্যা- নামে পরিচিত।
৭ই মে দুপুরে পাকবাহিনীর তিনটি জীপ হরিণখোলা গ্রামে পৌছায়। গ্রামটি ছিল হিন্দু-প্রধান। পাকসেনারা গ্রামে ঢুকেই এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে প্রথমেই নিহত হন সৃষ্টিধর মণ্ডল ও তার মেয়ে বাউনি মণ্ডল। পরে আরো অনেককে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা হরিণখোলা গণহত্যা নামে পরিচিত। হরিণখোলায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর পর পাকসেনারা পাশের গ্রাম গোয়ালপোতায় ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায়। ফলে এখানেও বেশ কয়েকজন নিরীহ গ্রামবাসী প্রাণ হারায়। এ ঘটনা গোয়ালপোতা গণহত্যা নামে পিরিচিত। সেদিন হরিণখোলা ও গোয়ালপোতা গ্রামে মোট ৫৬ জন লোক প্রাণ হারায়। তাদের সৎকার করার মতো কোনো লোক গ্রামে ছিল না।
দুটি নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়ে পাকসেনারা চলে যাবার পর একই দিন বিকেলে রাজাকারদের একটি দল আসে। তারা গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি ও খড়ের গাদায় আগুন দেয় এবং লুটপাট চালায়। পাকবাহিনী চলে যাওয়ার সময় ৬-৭ জন নারীকে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পাশবিক নির্যাতনের শিকার ঐসব নারীর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
৬ই জুন কপোতাক্ষ নদ দিয়ে পাকবাহিনীর খাদ্যসামগ্রী বোঝাই একটি লঞ্চ যাচ্ছিল। এ-সময় মুক্তিযোদ্ধারা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে পাকবাহিনীর দুজন দালালকে হত্যা করেন। এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পরের দিন ৭ই জুন খুলনার কপিলমুনি থেকে পাকসেনা ও রাজাকাররা এসে জালালপুর ও শ্রীমন্তকাটি গ্রামের ১২ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে এবং কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়। হত্যার এ ঘটনা জালালপুর-শ্রীমন্তকাটি গণহত্যা- নামে পরিচিত পাটকেলঘাটা ডাকবাংলো ছিল পাকবাহিনীর নির্যাতনকেন্দ্র। সেখানে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনী স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে অগণিত ছাত্র, যুবক, নারী, পুরুষ ও শিশু-বৃদ্ধ নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়। এ ছাড়া কুমিরা হাই স্কুলেও তাদের একটি ক্যাম্প ছিল।
তালা উপজেলায় পাকবাহিনী ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তিনটি যুদ্ধ হয় – কপোতাক্ষ নদযুদ্ধ, বারাত যুদ্ধ, বালিয়াদহ যুদ্ধ ও মাগুরা যুদ্ধ। কপোতাক্ষ নদযুদ্ধ সংঘটিত হয় ৬ই জুন। এদিন নদ দিয়ে পাকবাহিনীর খাদ্যসামগ্রী বোঝাই একটি লঞ্চ যাচ্ছিল। এ-সময় মুক্তিযোদ্ধারা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে পাকবাহিনীর দুজন দালালকে হত্যা করেন এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পরের দিন ৭ই জুন খুলনার কপিলমুনি থেকে পাকসেনা ও রাজাকাররা এসে জালালপুর ও শ্রীমন্তকাটি গ্রামের ১২ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে এবং কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
বারাত যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৩রা অক্টোবর। এতে ৩-৪ জন রাজাকার নিহত হয়। বালিয়াদহ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৪ই নভেম্বর কমান্ডার মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে। এদিন পাটকেলঘাটা থেকে পাকসেনা ও রাজাকারদের একটি দল বালিয়াদহ গ্রামের দিকে আসছে জেনে মুক্তিযোদ্ধারা পূর্ব থেকে এম্বুশ করেন। হানাদাররা সেখানে এলে উভয় পক্ষে প্রায় ৩ ঘণ্টা যুদ্ধ হয়। কিন্তু পাকসেনাদের ভারী অস্ত্রের সামনে টিকতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধারা পশ্চাদপসরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধারা চলে গেলে পাকসেনা ও রাজাকাররা বালিয়াদহ বাজার ও পার্শ্ববর্তী গ্রামে অগ্নিসংযোগ করে এবং একজন গ্রামবাসীকে হত্যা করে। এ-যুদ্ধে ছয়জন রাজাকার নিহত হয়।
মাগুরা যুদ্ধ সংঘটিত হয় ২৫শে নভেম্বর বিকেলে। এতে একজন পাকসেনা নিহত হয় এবং সুশীল কুমার সরকার, মো. আব্দুল আজিজ ও মো. আবু বকর সরদার নামে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আহতও হন। ৬ই ডিসেম্বর তালা উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
তালা উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- সুশীল কুমার সরকার (পিতা হাজুপদ সরকার, বাতুয়াডাঙ্গা) ও মো. আব্দুল আজিজ (বারাত)। এঁরা দুজনই ২৫শে নভেম্বর মাগুরা যুদ্ধে শহীদ হন। এঁদের সঙ্গে সেদিন কলারোয়া উপজেলার কউরিয়া গ্রামের মো. আবু বকর সরদারও শহীদ হন।
মাগুরার যুদ্ধে যে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, ঘটনাস্থলে তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি পাকা কবর নির্মাণ করা হয়েছে। কবরের গায়ে একটি পাথরে তাঁদের নাম-ঠিকানা, যুদ্ধের তারিখ ও স্থানের নাম খোদাই করা আছে। [শেখ সিদ্দিকুর রহমান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড