You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযুদ্ধে তারাগঞ্জ উপজেলা (রংপুর)

তারাগঞ্জ উপজেলা (রংপুর) রংপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটি বদরগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৭৭ সালে ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে তারাগঞ্জ স্বতন্ত্র থানার মর্যাদা লাভ করে। বর্তমানে এটি একটি উপজেলা। ১৯৭১ সালে বদরগঞ্জকে ঘিরেই তারাগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি রচিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সাতই মার্চের ভাষণ-র পর বদরগঞ্জ থানা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, যার আহ্বায়ক নির্বাচিত হন তারাগঞ্জের সন্তান ও স্কুল শিক্ষক এলাহী বকস সরকার এমপিএ। তাঁর নেতৃত্বে বদরগঞ্জসহ তারাগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নেও সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এ-ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ভাষা সৈনিক আব্দুল জব্বার সরকার (বদরগঞ্জ) ও কমরেড জিতেন দত্ত। সংগ্রাম পরিষদের উল্লেখযোগ্য সদস্যরা হলেন— ১নং আলমপুর ইউনিয়ন সংগ্রাম পরিষদ: মোহাম্মদ আপেল উদ্দিন সরকার, মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান সরকার, দেবেন্দ্রনাথ রায়, ডা. নাছির উদ্দিন, ডা. মোজাম্মেল হোসেন, ডা. ইউনুছ আলী; ২নং কুর্শা ইউনিয়ন সংগ্রাম পরিষদ: মো. লুৎফর রহমান সরকার, ডা. জসীম উদ্দীন, মো. শাহাজাহান সরকার, মো. আলমগীর সরকার, মো. বাফাজ উদ্দীন, ভোলানাথ রায়, ছকিম উদ্দিন প্রামাণিক, যোগেন্দ্রনাথ মহন্ত, মোহাম্মদ আলী, ডা. অজিতনাথ রায়, মো. মুজিবুর রহমান সরকার, মো. রফিকুল ইসলাম; ৩নং একরচালী ইউনিয়ন সংগ্রাম পরিষদ: প্রফেসর আফসার হোসেন, মো. মফিজার রহমান মিয়া, হরিপদ পাল, মো. মোফাজ্জল হোসেন শাহ, মো. হাসেন উদ্দিন খলিফা, গণেশচন্দ্র রায়, ছফুর উদ্দিন; ৪নং হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন সংগ্রাম পরিষদ: মো. কবির উদ্দিন সরকার, মো. নুর হোসেন প্রামাণিক, মো. আব্দুস সাত্তার মিয়া, অজিতনাথ রায়, ধনঞ্জয় বানিয়া, মো. রুস্তম আলী, পদারচন্দ্র রায়, মো. তছির উদ্দিন, ডা. আলতাফ হোসেন, মো. টেরা কবিরাজ; ৫নং শয়ার ইউনিয়ন সংগ্রাম পরিষদ: ডা. রিয়াজ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ওরফে চেলুখাঁ, আলেফ উদ্দিন সরকার, মো. তবারক হোসেন কাজী, মো. আব্দুর রাজ্জাক সরকার, ধনঞ্জয় সরকার, ডা. মাঈদুল হক, ডা. ফজলে এলাহী, মো. আমির হোসেন সরদার প্রমুখ। এঁদের মধ্যে আফসার হোসেন (স্বাধীনতা- পরবর্তীকালে অধ্যক্ষ, সৈয়দপুর কলেজ), ডা. রিয়াজ উদ্দিন, রুস্তম আলী, আপেল উদ্দিন সরকার, আমজাদ হোসেন। চৌধুরী, লুৎফর রহমান সরকার, ডা. জসীম উদ্দিন, মফিজার রহমান মিয়া, কবির উদ্দিন সরকার, নূর হোসেন প্রামাণিক, মোহাম্মদ আলী ওরফে চেলুখাঁ, শহীদুল্লাহ পাটোয়ারী প্রমুখের নাম অগ্রগণ্য। রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের পূর্ব প্রান্তে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট এবং পশ্চিম প্রান্তে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট থাকায় তারাগঞ্জ এলাকার ভেতরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার সুযোগ ছিল না। তবে এ অঞ্চলের ছাত্র- যুবকরা বুড়িমারী এবং ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ করেন।
২৮শে মার্চ রংপুর সদর, মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলার সংগ্রামী জনতার সঙ্গে তারাগঞ্জের মানুষও তীর-ধনুক, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
৮ই এপ্রিল পাকবাহিনী তারাগঞ্জে অনুপ্রবেশ করে এবং ইকরচালী বাসস্ট্যান্ডের পাশে পিডিপি-নেতা আবুল হোসেন মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে। একই সঙ্গে সেখানে একটি রাজাকার ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে বয়াতী ব্রিজের দুপাশে দুটি রাজাকার ক্যাম্প স্থাপিত হয়।
২৮শে মার্চের পর তারাগঞ্জে শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকারদের মধ্যে আবুল হোসেন মিয়া (শান্তি কমিটির প্রধান ও পিডিপি নেতা, ইকরচালী), নূরুল ইসলাম (রাজাকার প্রশিক্ষক ও দুর্ধর্ষ রাজাকার কমান্ডার, ইকরচালী), নজরুল ইসলাম বাচ্চা মিয়া (বেতনভুক্ত রাজাকার কমান্ডার, কুর্শা), কাশেম ডাক্তার (হাজীপুর), কাশেম আলী দফাদার (মেনানগর), ছালেক মওলানা (সৈয়দপুর), রাজাকার ইসলাম শাহ (ইকরচালী), আফসার আলী (কসাইপাড়া), এমাজ (কসাইপাড়া), নেপাল (কসাইপাড়া), শামসুল (হাড়িয়ারকুঠি), টোরা সর্দার (আলমপুর), বছর আলী (ইকরচালী), আজিজুর রহমান (মেনানগর), আব্বাস উদ্দিন (ইকরচালী), আব্দুস সামাদ (ইকরচালী), নাফিল উদ্দিন (ইকরচালী), মোজাহার উদ্দিন (ইকরচালী), মফিজল হোসেন (ইকরচালী), আবু বক্কর (ইকরচালী), আকমল হোসেন (ইকরচালী), আব্দুল হামিদ (ইকরচালী), এ কে এম নূরুল ইসলাম (জগদীশপুর), আকবর হোসেন (জগদীশপুর), আতিয়ার রহমান (জগদীশপুর) এদের নাম উল্লেখযোগ্য।
শান্তি কমিটির কুখ্যাত নেতা আবুল হোসেন মিয়ার পুত্র নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে ইকরচালীতে রাজাকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্ৰ গড়ে ওঠে। সে ছিল তারাগঞ্জ এলাকার একজন দুর্ধর্ষ রাজাকার কমান্ডার। তার পরিচালনায় ইকরচালী ইউনিয়ন বোর্ড মাঠে প্রকাশ্যে রাজাকারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই আবুল হোসেন মিয়া মাঠপর্যায়ে তাদের, তৎপরতা চালায়। জলঢাকার কাদের কাজী, গঙ্গাচড়ার ময়েন সরকার, বদরগঞ্জের বাচ্চা রাজাকার, এ এম আজহারুল ইসলাম এবং আবুল হোসেন মিয়া একই মতাদর্শের হওয়ায় উত্তরাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সকল অপকর্মের নীলনকশা প্রণয়নে তারা ভূমিকা রাখে। তারাগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে তাদের কর্মী পাঠিয়ে মুরুব্বীদের বাড়িতে ডেকে এনে শান্তি কমিটি, রাজাকার ও আলবদর- বাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে দিত। বিবিসি- কিংবা ভারতের কোনো বেতার সম্প্রচার না শোনার জন্য সবাইকে সতর্ক করে দিত। শুধু তাই নয়, আবুল হোসেন মিয়া পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে অনেক বেতারযন্ত্র কেড়ে নিয়ে আসে। রাজাকার, আলবদরদের প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত বেতন প্রদানের মাধ্যমে সে তিন শতাধিক সদস্যের একটি সক্রিয় রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলে। আবুল হোসেন মিয়ার পুত্র নূরুল ইসলাম, নুরুন্নবী ওরফে দুলাল এবং কুর্শা ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম বাচ্চা মিয়াসহ বেশ কয়েকজন বেতনভুক্ত রাজাকার উচ্চ অবস্থানে ছিল।
তারাগঞ্জ শান্তি কমিটির কুখ্যাত নেতা আবুল হোসেন মিয়ার বাড়িটি পাকবাহিনী ও রাজাকারদের ক্যাম্প ছিল। এটি নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন, মুক্তিযোদ্ধাদের অভিভাবক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ধরে এনে এখানে নির্যাতন চালানো হতো। এ বন্দিশিবিরে এনে বশির উদ্দিন সরকার (মণ্ডলপাড়া), হাছিন উদ্দিন (হাজীপুর), ছপুর উদ্দিন (হাজীপুর), মজিবুর রহমান (মাটিয়ালপাড়া), নূর মোহাম্মদ (ইপিআর সদস্য, ঝাকুয়াপাড়া), সাবের মিয়া (ইপিআর সদস্য, লক্ষ্মীপুর), আবুল গাটিয়া (ইকরচালী সাতআনী) ও একাব্বর হোসেন (ইকরচালী) সহ অসংখ্য মানুষকে নির্যাতন করা হয়। তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠি, আলমপুর ও ইকরচালী ইউনিয়নে পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা হত্যা, গণহত্যা, নারীনির্যাতন, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ইপিআর সদস্য নূর মোহাম্মদ (ঝাকুয়াপাড়া) ও সাবের মিয়া (লক্ষ্মীপুর) বাড়ি চলে আসেন। তারাগঞ্জ শান্তি কমিটির প্রধান আবুল হোসেন মিয়া তাদের দুজনকে রাজাকারদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ কাজে তারা রাজি না হওয়ায় আবুল হোসেন মিয়ার নির্দেশে রাজাকার ইসলাম শাহ (ইকরচালী)-এর নেতৃত্বে অন্যান্য রাজাকাররা তাদের জোরপূর্বক বাড়ি থেক ক্যাম্পে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। অতঃপর তাদের রংপুর ক্যান্টনমেন্টে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তিনদিন পর পাকসেনারা রংপুরের সন্নিকটে জাফরগঞ্জ ব্রিজের পাশে দুই ইপিআর সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে।
এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে তারাগঞ্জ থানার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে রাজাকার কাশেম ডাক্তার (হাজীপুর) ও রাজাকার কাশেম আলী দফাদার (মিনানগর)- এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পাকবাহিনী দিনেদুপুরে অজিত কুমার রায়, জনার্দন রায় দেব ও নারায়ণ রায়কে গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাদের লাশ যতীন বাবুর বাড়ি সংলগ্ন একটি গর্তে সমাহিত করে। এদিন তারা উজিয়াল গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে ব্যাপক লুণ্ঠন চালায়।
এপ্রিল মাসে মধুরামপুর গণহত্যা- সংঘটিত হয়। এতে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। গণহত্যার পর হানাদাররা মধুরামপুর গ্রামটি পুড়িয়ে দেয় এবং নকুর নামে একজনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তারাগঞ্জে পাকবাহিনী ও তাদের দোসর কর্তৃক নির্মম নারীনির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এপ্রিল মাসে মর্জিনা বেগম (গোমস্তাপাড়া) পাকবাহিনী কর্তৃক নিজ বাড়িতে ধর্ষিত হন। আলমপুর ইউনিয়নের সরদারপাড়ার মোসাম্মৎ রোকেয়া খাতুনকে ধরে নির্যাতন শেষে রাজাকাররা তাকে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে পাকসেনাদের হাতে তুলে দেয়। চারদিন পাশবিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নীলফামারী কারাগার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শমসের সরদারের পালিত পুত্র লাল্টু এবং একই গ্রামের ওসমান সরদার ও তার পুত্র নূরুল ইসলামকে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে হত্যা করা হয়। জোবেদা বেগম (রামপুরা) নিজবাড়িতে পাকবাহিনীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন। তার শরীর ধারালো ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। কয়েকদিন পর বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা যান।
জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইকরচালী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দানের অজুহাতে রাজাকাররা নিজাম উদ্দিন সরকারের বাড়ি ঘেরাও করে তার আত্মীয় জাকির হোসেন তালুকদারকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে। এলাহী বকস সরকার এমপিএ-এর বৃদ্ধ পিতাকেও রাজাকাররা বেঁধে নির্যাতন করে।
তারাগঞ্জের রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কে যমুনেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত বরাতী ব্রিজটি ছিল একটি বধ্যভূমি। পাকবাহিনী তাদের দোসরদের সহযোগিতায় এ ব্রিজে শতশত বাঙালিকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে তাদের লাশ নদীতে ফেলে দেয়। স্থানটি বরাতী ব্রিজ বধ্যভূমি- নামে পরিচিত। আগস্ট মাসে বরাতী ব্রিজের নিকটবর্তী পালপাড়ায় শান্তি কমিটির নেতা আবুল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে শয়ার ইউনিয়নের সাতজন নিরীহ মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়।
তারাগঞ্জ উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। তবে নভেম্বর মাসে মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী হোসেনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপের সঙ্গে আলমপুর ইউনিয়নের কুখ্যাত রাজাকার টোরা সর্দারের গ্রুপের গুলিবিনিময় হয়। কিন্তু সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাকবাহিনী টোরা সর্দারের গ্রুপকে সাপোর্ট দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটেন। ১৬ই ডিসেম্বর তারাগঞ্জ উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
তারাগঞ্জে কুর্শা ইউনিয়নের নয়ারহাট মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া হত্যাকাণ্ডের স্থানে দুটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে। [গীতিময় রায়]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!