তাতিহারা গণহত্যা (কালিহাতী, টাঙ্গাইল)
তাতিহারা গণহত্যা (কালিহাতী, টাঙ্গাইল) সংঘটিত হয় জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এবং আগস্ট মাসের ৪ তারিখে। টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার সয়াহাট থেকে মাত্র অর্ধ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এলেঙ্গা-ভূঞাপুর পাকা সড়কের পূর্বপাশে তাতিহারা গ্রামটি অবস্থিত। ১৯৭১ সালের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে একদিন বিকেল বেলা নিজেদের মনোহারী দোকানে যাওয়ার পথে পাকবাহিনী তিন দোকানিকে সয়া ব্রিজের নিচে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। একই দিনে তারা আরো তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে। আগস্ট মাসের ৪ তারিখ ময়মনসিংহ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পাকিস্তানি হানাদাররা ঘাটাইল থেকে একজনকে ধরে নিয়ে মধুপুর বধ্যভূমিতে এবং তাতিহারা গ্রামের দুজন প্রাণভয়ে ভদ্রবাড়ি তাদের আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে নাগা ও তাতিহারার মাঝামাঝি স্থানে তাদের হত্যা করে। সেদিন তাতিহারা গ্রামে গণহত্যায় শহীদ হন আব্দুস সামাদ (পিতা ওয়াহেদ আলী খলিফা), আব্দুস লতিফ (পিতা ওয়াহেদ আলী খলিফা), আব্দুস মান্নান (পিতা ওয়াহেদ আলী খলিফা), শাহজাহান আলী (পিতা ভেঙ্গু মুনসী), চাঁন মাহমুদ (পিতা আছাব আলী), আবু সামা (পিতা আছাব আলী), কার্তিক চন্দ্ৰ দাস (পিতা নারায়ণ চন্দ্র দাস চেংগু, তারাবাড়ি)। [শফিউদ্দিন তালুকদার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড