ডুলাহাজারা লাল ব্রিজ অপারেশন (চকরিয়া, কক্সবাজার)
ডুলাহাজারা লাল ব্রিজ অপারেশন (চকরিয়া, কক্সবাজার) পরিচালিত হয় ২রা নভেম্বর। এ অপারেশনে একজন রাজাকার নিহত এবং ১০-১২ জন পুলিশ ও রাজাকার আহত হয়। বেশকিছু অস্ত্র ও গুলি মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়।
সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন হাবিলদার আবদুস ছোবহানের নেতৃত্বে চকরিয়ায় দ্বিতীয় সফল অভিযান ছিল ডুলাহাজারা লাল ব্রিজ অপারেশন। মুক্তিযোদ্ধারা ব্রিজের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাজাকার ও পুলিশ বাহিনীকে আক্রমণ করে পাকহানাদারদের মনোবল ভেঙ্গে দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মুক্তিযোদ্ধাদের চলাচলকে নির্বিঘ্ন রাখতে চেয়েছেন। এছাড়া রাজাকার ও পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রভাণ্ডার আয়ত্ত করে মুক্তিবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারকে শক্তিশালী করাও ডুলাহাজারা সেতুতে অভিযান পরিচালনার উদ্দেশ্য ছিল।
২রা নভেম্বর মধ্যরাতে অধিনায়ক আবদুস ছোবহানের নেতৃত্বে ৪৬ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ব্রিজের দখল নিয়ে নেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের ৫টি দল ব্রিজের চারপাশে অবস্থান নিলে ব্রিজ পাহারারত রাজাকার ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা জবাব দেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধে চকরিয়া থানার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়ার রাজাকার ছাবের আহমদ নিহত ও ১০-১২ জন পুলিশ ও রাজাকার আহত হয়। এ অভিযানে ৩টি ৩০৩ রাইফেল ও ১৩০ রাউন্ড গুলি মুক্তিযোদ্ধারা উদ্ধার করেন। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড