ডাংরীবন্দ ইটখোলা বধ্যভূমি (নান্দাইল, ময়মনসিংহ)
ডাংরীবন্দ ইটখোলা বধ্যভূমি (নান্দাইল, ময়মনসিংহ) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলা সদর থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকাররা উপর্যুপরি হত্যাকাণ্ড চালিয়ে অনেক মানুষের প্রাণিহানি ঘটায়।
ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বারুইগ্রাম অবস্থিত। এ গ্রামে জামিয়া আরাবিয়া আহমাদিয়া বারইগ্রাম কওমী মাদ্রাসার অবস্থান। মাদ্রাসায় মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর ক্যাম্প ছিল। ক্যাম্পে বসে রাজাকার ও -আলবদর-রা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নানা পরিকল্পনা করত। মাদ্রাসার পাশে ছিল বিশাল ডাংরীবন্দ পরিত্যক্ত ইটখোলা। এ ইটখোলায় প্রথমে মুশুল্লী ইউনিয়নের সতীশ চন্দ্র দে (পিতা শরৎচন্দ্র দে) এবং ভোলা-কে পাকিস্তানি হানাদাররা নৃশংসভাবে হত্যা করে। নভেম্বর মাসে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের সহযোগিতায় এখানে আরো ২৫-৩০ জনকে হত্যা করা হয়। রাজাকারআলবদররা বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনকে ধরে এনে এখানে অত্যাচার ও নির্যাতন করত। নারী-শিশু-বৃদ্ধ কেউই এদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেত না। এ বধ্যভূমিতে এখনো কোনো স্মৃতিফলক নির্মিত হয়নি। [শফিকুল ইসলাম কাদির]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড