ডাকরা গণহত্যা (রামপাল, বাগেরহাট)
ডাকরা গণহত্যা (রামপাল, বাগেরহাট) সংঘটিত হয় ২১শে মে কুখ্যাত রাজাকার রজ্জব আলী ফকিরের নেতৃত্বে। বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে ৬ই মে রামপাল প্রতিরোধযুদ্ধ-এ রাজাকারদের পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালায়। সে-সবের মধ্যে ডাকরা গণহত্যা একটি। সেদিনের সেই গণহত্যার স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা আজো ভয়ে শিউরে ওঠেনI
২৬শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় রাজাকার এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে বাঙালিদের প্রতিরোধ দুর্গ ভেঙ্গে পড়তে থাকে। মানুষ বাঁচার তাগিদে এদিক-সেদিক ছুটতে থাকে। এতেও যারা নিরাপদ বোধ না করে, তারা বাধ্য হয় ভারতে যেতে থাকে। দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়ও এমন ঘটনা ঘটছিল। রাজাকারদের হাতে যেমন অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছিল, তেমনি এখানকার মানুষ ধনসম্পদ ও মান- সম্মান হারিয়ে বাঁচার তাগিদে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছিল। বাগেরহাট জেলার মির্জাপুর-কাড়াপাড়া, রণজিৎপুর, হোগলাপাশা, বাঁশবাড়িয়া-সাড়েচারানি, বেতবুনিয়া, চণ্ডীপুর, শাঁখারীকাঠি ইত্যাদি এলাকার লোকজন ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ডাকরা গ্রামে এসে জড়ো হয়৷
ডাকরা গ্রামটি বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় অবস্থিত। গ্রামটির উত্তর পাশে মংলা নদী। নদীর অপর পাড়ে বাঁশতলী গ্রামের কালীগঞ্জ বাজার, পশ্চিমে মাদারতলী খাল, পূর্বে কুমারখালী খাল এবং দক্ষিণে চন্দ্রাখালী। এ গ্রামে অলৌকিক কাহিনিযুক্ত একটি কালীমন্দির এবং আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন বাদল ঠাকুর নামে এক ব্যক্তির বসবাস ছিল। এখানে বিপদের আশঙ্কা কম এরূপ মনে করে বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ডাকরায় এসে নদীতীরে নৌকা লাগিয়ে অথবা তীরবর্তী কোনো বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
ইতোমধ্যে ডাকরা গ্রামে অবস্থানরত এসব মানুষের খবর রাজাকার কমান্ডার রজ্জব আলীর নিকট পৌঁছে যায়। এ কারণে এবং ২০মে রামপালে শান্তি কমিটি-র যে মিটিং হয় তার পরিপ্রেক্ষিতে যে-কোনো মুহূর্তে এখানে মারাত্মক কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই শরণার্থীরা এখান থেকে দ্রুত সরে পড়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ২১শে মে বিকেলে ভাটার সময় নৌকা ছাড়ার প্রস্তুতি নেয়। সব নৌকায় সকাল-সকাল রান্নাবান্না করে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা চলে। এ সময় আরো কিছু নৌকা এসে এখানে জমায়েত হয়। খাওয়া-দাওয়া সেরে আর মাত্র দু-এক ঘণ্টার মধ্যে নৌকাগুলো ভারতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
বেলা তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। লোকভর্তি কয়েকটি টালাই নৌকা মদনাখালী ছোট সন্ন্যাসী থেকে খুব দ্রুত এদিকে আসতে থাকে। শরণার্থীদের মন অজানা আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে। কিছুদিন পূর্বে এরকম একটি বহর ভারতে গেছে। তাদের কাছে বন্দুক ছিল। তারা যেখানে বাধার সম্মুখীন হয়েছে সেখানেই বিভিন্ন নৌকা থেকে একযোগে গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তদের মোকবেলা করে ভারতে পৌঁছে যায়। কিন্তু আজকের বহরে কোনো বন্দুক নেই।
অগ্রসরমাণ নৌকাগুলো কিছু সময়ের জন্য কুমারখালী নদীর গোড়ায় থামে। এরপর নদী পাড়ি দিয়ে কালীগঞ্জ বাজারে চলে যায়। সেখানে দু-তিনটি নৌকা কূলে ভেড়ে, বাকিগুলো পশ্চিমে সরে গিয়ে মাদারতলী খালের মধ্যে ঢুকে পড়ে। শরণার্থীরা নৌকায় অথবা কূলে বসে ঐ নৌকাগুলোর গতিবিধি লক্ষ্য করে। মাদারতলী খালের মধ্যে যে নৌকাগুলো ঢুকে পড়েছিল, সেগুলোর একটি ফিরে এসে খুব দ্রুত কুমারখালী খালের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এর অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যে পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর দিক থেকে ঐ নৌকাগুলো থেকে শরণার্থীদের ওপর নির্মম আক্রমণ চালানো হয়। তারা গুলি করার সঙ্গে-সঙ্গে শরণার্থীদের কেউ নদীতে ঝাঁপিড়ে পড়ে, কেউ-বা কূলে উঠে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড়াতে থাকে। একদিকে ভয়াল চিৎকারে মানুষের দৌড়, অন্যদিকে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ। চারিদিকে অন্ধকার, আগুন আর আগুন। দেখতে-দেখতে আহত-নিহতের রক্তে নদীর জল লাল হয়ে যায়। নদীতে পড়ে যারা সাঁতরে বাঁচতে চেয়েছিল, গুলি করে তাদের নদীর জলে ডুবিয়ে দেয়া হয়। কুমারখালী খালের গোড়া এবং মাদারতলী খালের গোড়া থেকে কূলে উঠে আক্রমণকারীরা নিরস্ত্র মানুষদের তাড়িয়ে নিয়ে বিভিন্ন ঘরে ঢোকায়। সেখান থেকে টেনে-টেনে বের করে তাদের হত্যা করে। অসহায় মানুষের আর্তচিৎকারে সেখানে এক করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মানুষ বাঁচার তাগিদে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে। কেউ ফলের বাগানে কিংবা ঝোপঝারে ঢুকে পড়ে। রাজাকাররা সেখান থেকে টেনে বের করে ছোরা দিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে তাদের হত্যা করে। দুই ভাই একটি বাড়ির খাটের নিচে লুকিয়েছিল। রাজাকাররা তাদের একজনকে পা ধরে টেনে বের করে গুলি করতে যাবে, তখন অপর ভাই বের হয়ে ভাইকে জড়িয়ে ধরে। দুভাইকে এক সঙ্গে গুলি করা হয়। একটি পুকুরে কচুরিপানার মধ্যে অপর দুই ভাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে পালিয়ে ছিল। তাদের দুজনকে এক সঙ্গে হত্যা করা হয়।
রাজাকারদের উদ্দেশ্য ছিল পুরুষদের হত্যা করা। তাই তারা ডাকরা গ্রামের সমস্ত এলাকা তন্নতন্ন করে পুরুষদের হত্যা করে। তারা মায়ের সামনে ছেলেকে, বোনের সামনে ভাইকে হত্যা করে। অনেক মানুষ আহত হয়ে মরার ভান করে পড়ে থেকেও বাঁচতে পারেনি। রাজাকাররা ছোরা অথবা বন্দুকের নল দিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে দেখে মরেছে কি-না, না মরলে গুলি অথবা বেয়নেট চার্জ করে তাদের হত্যা করে। কুমুদবিহারী চক্রবর্তী নামে একজন পুরোহিতকে তাঁর স্ত্রী দুহাত দিয়ে ঝাপটে ধরেছিলেন। কিন্তু রাজাকাররা লাথি মেরে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে স্বামীকে নিয়ে যায়। স্ত্রী তাদের পা ধরে কাকুতি-মিনতি করেও স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি। কুমুদ চক্রবর্তী গুলি খেয়ে স্ত্রীর সামনেই লুটিয়ে পড়েন।
কেউ বাঁচার তাগিদে নদী সাঁতরে অপর পাড়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। কেউ-বা দৌড়াতে-দৌড়াতে হাঁপিয়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। বর্বররা সে অবস্থায় তাদেরকে ছোরা দিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে হত্যা করে। গুলিতে নিহত এক মা পড়ে থাকেন। তাঁর ছোট বাচ্চাটি মায়ের বুকে উঠে আশ্রয় খোঁজে। রণজিৎ মণ্ডল নামে একজন আহত হয়ে নদীতে ভাসতে- ভাসতে এক পরিচিত ব্যক্তির হাতে পড়েন। তার সহায়তায় অনেক চিকিৎসার পর তিনি বেঁচে যান।
রাজাকাররা নারী ও মৃতদের দেহ তল্লাশি করে সোনাদানা, টাকা-পয়সা সব লুটে নেয়। তারা প্রতিটি নৌকাও তন্নতন্ন করে খোঁজে। অনেক নৌকা তাদের বন্দুকের গুলিতে নদীতে ডুবে যায়। বর্বররা মানুষ মেরে এবং লুটপাট করেও ক্ষান্ত হয়নি। তারা মহিলাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে এক করুণ অবস্থার সৃষ্টি করে। তারা চলে যাওয়ার সময় অনেক মহিলাকে ধরে নিয়ে যায়। স্বাধীনতার পর তাদের দু-একজন ফিরে এলেও অনেকের আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত ডাকরা গ্রাম এক ভুতুড়ে স্থানে পরিণত হয়। রাজাকাররা বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়ে একদল ছোট সন্ন্যাসী-মদনাখালী এবং অন্যদল দক্ষিণে চলে যায়। আস্তে-আস্তে সন্ধ্যা নামে। কোথাও কোনো সাড়া-শব্দ নেই। মাঝে-মধ্যে দু-এক জন আহত ব্যক্তির আর্তনাদ শোনা যায়। ডাকরা কালীমন্দির, বাজার, ঠাকুরবাড়ির বাগান, ডাকুয়াবাড়ি, টাকীবাড়ি, রায়বাড়ির আঙিনা সব স্থান থেকে শেয়াল-কুকুরের মাংস আর রক্ত খাওয়ার আতঙ্কজনক শব্দ ভেসে আসে। রাজাকারদের চলে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে পালিয়ে বাঁচা দু-একজন কেরোসিনের বাতি নিয়ে এসে স্বজনদের লাশ খুঁজে বেড়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যায়, স্থানীয় লোকজন কিছুকিছু লাশের সৎকার করেছিল। কিন্তু অধিকাংশ লাশ পঁচে-গলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, দীর্ঘকাল ঐ এলাকায় কেউ ঢুকতেই পারেনি। ডাকরা গণহত্যায় কোন এলাকার কত লোক শহীদ হয়েছে তার সঠিক হিসাব এবং তাদের পরিচয় আজো পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজনদের ধারণা, সেদিন কয়েকশ হিন্দু শহীদ হন। বিভিন্ন তথ্যসূত্রে ৭৩ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন: ডাকরা গ্রামের কুমুদ বিহারী চক্রবর্তী (পিতা জানকীলাল চক্রবর্তী), মরুময় ব্যানার্জী (পিতা মদনমোহন), হরিবর হালদার (পিতা ভাগ্যধর হালদার), কামিনী মণ্ডল (পিতা গোবিন্দ মণ্ডল), রসিকলাল চক্রবর্তী (পিতা কল্পনাথ চক্রবর্তী), কিরণ চক্রবর্তী (পিতা অভয় চক্রবর্তী), সত্যরঞ্জন চক্রবর্তী (পিতা লক্ষ্মীকান্ত চক্রবর্তী), জ্যোতিমোহন চক্রবর্তী (পিতা অভয়চরণ চক্রবর্তী), লক্ষ্ম শ্রীকান্ত চক্রবর্তী (পিতা নকুলেশ্বর চক্রবর্তী), অমল চক্রবর্তী (পিতা রতিকান্ত চক্রবর্তী), বিশ্বম্ভর মিস্ত্রী (পিতা বসন্তকুমার মিস্ত্রী), সুখেন্দু হালদার (পিতা শশিভূষণ হালদার), আনন্দ হালদার (পিতা ভাগ্যধর হালদার), রসিকলাল ঘরামী (পিতা কানাই ঘরামী), বরদাকান্ত ঘরামী (পিতা কানাই ঘরামী), উপেন ঘরামী (পিতা কানাই ঘরামী), গুরুবর মণ্ডল (পিতা মহাদেব মণ্ডল), অনন্তকুমার মণ্ডল (পিতা গুরুবর মণ্ডল), ভদ্ৰকান্ত মণ্ডল (পিতা কানাইলাল মণ্ডল), কেনারাম ডাকুয়া (পিতা গোবিন্দ ডাকুয়া), বেলকা মণ্ডল (স্বামী গুরুবর মণ্ডল), প্রমিলা মণ্ডল (স্বামী আদুরাম মণ্ডল), আনন্দলাল মজুমদার (পিতা রামচরণ মজুমদার), অংকুর মজুমদার (পিতা আনন্দ মজুমদার), সতীশ মজুমদার (পিতা রামচরণ মজুমদার), কাটাখালীর শরৎ মণ্ডল (পিতা ধনঞ্জয় মণ্ডল), অমূল্য মণ্ডল (পিতা ধনঞ্জয় মণ্ডল), পাচুরাম কবিরাজ (পিতা মহিম কবিরাজ), মহানন্দ কবিরাজ (পিতা মহিম কাবরাজ), রাধাকান্ত মজুমদার (পিতা মহারাজ মজুমদার), গোপাল মজুমদার (পিতা মহারাজ মজুমদার), শরৎচন্দ্র মজুমদার (পিতা দ্রোণ মজুমদার), নারায়ণ মণ্ডল (পিতা মনোহর মণ্ডল), হরসিত মণ্ডল (পিতা অভয়াচরণ মণ্ডল), ক্ষান্তরাণী হালদার (স্বামী গোপীরাম হালদার), অতুলকৃষ্ণ ডাকুয়া (পিতা ফেলারাম ডাকুয়া), নিরঞ্জন চক্রবর্তী (পিতা সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী), আশুতোষ চক্রবর্তী (পিতা মতিলাল চক্রবর্তী), যতীন্দ্রনাথ বৈরাগী (পিতা গণেশ বৈরাগী), চিত্তরঞ্জন বৈরাগী (পিতা যতীন্দ্রনাথ বৈরাগী), মহানন্দ বৈরাগী (পিতা কালিচরণ বেরাগী), ভোজপাতিয়ার অনাথবন্ধু মিশ্র (পিতা হরিভজন মিশ্র), বকুলতলার রণজিৎ কুমার মুহলী (পিতা শ্যামচরণ মুহলী), কুমারখালীর মহাদেব হালদার (পিতা দ্বারিক হালদার), বেতকাঁটার পুলিনবিহারী পরামাণিক (পিতা অভয়চরণ পরামানিক), ভোলানাথ মুখার্জী (পিতা তিলক মুখার্জী), খগেন্দ্রনাথ মণ্ডল (পিতা সদানন্দ মণ্ডল), অনন্তকুমার মণ্ডল (পিতা অভিমন্যু মণ্ডল), উপেন্দ্রনাথ হালদার (পিতা সোনারাম হালদার), জিতেন মজুমদার (পিতা সনাতন মজুমদার), রাইচরণ বিশ্বাস (পিতা ভজন বিশ্বাস), রসময় বিশ্বাস (পিতা অমূল্য বিশ্বাস), নন্দলাল বিশ্বাস (পিতা শ্যামানন্দ বিশ্বাস), রমেশ বিশ্বাস (পিতা শিবচরণ বিশ্বাস), ভূপালচন্দ্র বিশ্বাস (পিতা শিবচরণ বিশ্বাস), গোপালচন্দ্র বিশ্বাস (পিতা শিবচরণ বিশ্বাস), মহিষঘাটার বিশ্বেশ্বর মণ্ডল (পিতা দয়াল মণ্ডল), সাড়েচারানির অসিতবরণ মসীদ (পিতা যতীন্দ্রনাথ মসীদ), দেবরাজের কেশব মণ্ডল, আড়ংঘাটার যাদবচন্দ্র তাফালী (পিতা মধুসূদন তাফালী), লক্ষ্মণচন্দ্র তাফালী (পিতা যাদবচন্দ্র তাফালী), প্রফুল্ল কুমার তাফালী (পিতা শীতলচন্দ্ৰ তাফালী), বড় সন্ন্যাসীর বড় ঠাকুর (পিতা হরিচরণ তাফালী), বেতিবুনিয়ার নীরোদ বিহারী মণ্ডল (পিতা মনোহর মণ্ডল), খাসেরডাঙ্গার যতীন্দ্রনাথ পরামাণিক (পিতা সনাতন পরামাণিক), কাশিমপুরের বিরাজ মোহন পাল (পিতা কিশোরী মোহন পাল), সায়েড়ার অভিলাষ বাছাড় (পিতা- নীরোদ বিহারী বাছাড়), নীরোদ বিহারী মিস্ত্রী (পিতা রূপচাঁদ মিস্ত্রী), বারুইপাড়ার গৌরাঙ্গ দেবনাথ (পিতা যদুনাথ দেবনাথ), সগুনার সুবোধ পাল (পিতা সুধীর পাল), প্রফুল্লকুমার পাল, হরিপুরের নিকুঞ্জ বিহারী বাছাড় (পিতা ভগবান বাছাড়) এবং নীরোদ বিহারী বাছাড় (পিতা রামচরণ বাছাড়)। ডাকরা গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। [দিলীপ কুমার মণ্ডল]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড