ডাকরাহাট অপারেশন (চারঘাট, রাজশাহী)
ডাকরাহাট অপারেশন (চারঘাট, রাজশাহী) পরিচালিত হয় ৪ঠা অক্টোবর। এতে একজন একজন পাকিস্তানপন্থী দালাল নিহত এবং একজন রাজাকার আহত হয়।
৪ঠা অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা ডাকরাহাটে (বর্তমান বাঘা উপজেলা) রাজাকারদের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করেন। ডাকরাহাটে রাজাকাদের ক্যাম্প ছিল না। তবে রাজাকাররা উক্ত হাটে নিয়মিত আসত। মুক্তিযোদ্ধারা নন্দনগাছি রেলব্রিজ ও বিড়ালদহ লোহার ব্রিজে অপারেশন করতে না পেরে ডাকরাহাটে উপস্থিত রাজাকারদের আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা ৪ঠা অক্টোবর সোমবার বিকেলে দুদিক দিয়ে হাটে প্রবেশ করেন। মুক্তিযোদ্ধারা হাটে প্রবেশ করা মাত্র রাজাকাররা ‘নারায়ে তকবির’ ধ্বনি দিয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করেন। ফলে মুহূর্তের মধ্যেই হাট ভেঙ্গে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে রাজাকাররা পলায়ন করে। এ-সময় তারা ৩টি রাইফেল ফেলে যায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে সৈয়ব রাজাকার (পোড়াভিটা) আহত হয় এবং একজন পাকিস্তানপন্থী দালাল নিহত হয়। রাজাকাররা পালিয়ে গেলে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের কাজীপাড়া ক্যাম্পে ফিরে যান। অপারেশনে আজাদ আলী, বীর প্রতীক-, নূরন্নবী সরকার (বাঘা), সাদেক আলী, সফিউর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আকসাদ আলী, মো. শুকুরুদ্দীন (বালুদিয়াড়), মো. শাহজাহান আলী, আব্দুল সামাদ (পুঠিয়া), শফিকুল ইসলাম (ফেনী), মোজাম্মেল হক (কাটাখালী) প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। [মো. মাহবুবর রহমান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড