You dont have javascript enabled! Please enable it!

ডাকুয়াপাড়া গণহত্যা (কুড়িগ্রাম সদর)

ডাকুয়াপাড়া গণহত্যা (কুড়িগ্রাম সদর) সংঘটিত হয় ২৭শে নভেম্বর। এতে ৭ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধারা ২৭শে নভেম্বর হালাবট এলাকায় মাইন দিয়ে রেলপথ উড়িয়ে দেবার কারণে পাকসেনাদের রসদবাহী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ঐ ট্রেনে থাকা পাকিস্তানি সৈন্যরা হালাবটের পূর্বদিকের ডাকুয়াপাড়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে ব্যাপক তল্লাশি এবং গণহত্যা চালায়। তল্লাশি চলাকালে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কোম্পানির একটি ইউনিটের সঙ্গে পাকবাহিনীর যুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা গুলিভর্তি বাক্সসহ মোগলবাসার চেয়ারম্যান ইব্রাহিমের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম নুরু এবং অনির উদ্দিনকে হাতেনাতে আটক করে। পাকসেনারা তাদেরকে ঘটনাস্থলেই প্রথমে বেয়নেট দিয়ে আঘাত করে পরে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। ডাকুয়াপাড়া গণহত্যায় আব্দুল আজিজ (পিতা বাচ্চু সরকার), নাদারু ও তার পুত্র হুজুর আলী দুলু, ইউসুফ আলী, জোনাব আলী (পিতা রহিম উদ্দিন), ওসমান, ছমির উদ্দিন (পিতা মংলু মামুদ) ও অপর একজনসহ ৭ জন শহীদ হন এবং এক শিশু আছিয়া খাতুন (পিতা আব্দুল বাতেন খোকা), আশরাফ, ইসমাইল হোসেন (পিতা আব্দুল খালেক)সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় একজন নারী মরিয়ম বেগম (আব্দুল বাতেন খোকা) পাকবাহিনীর হাতে নিগৃহীত হন। ডাকুয়াপাড়া গণহত্যায় শিকার মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম নুরুকে মোগলবাসা হাইস্কুল মাঠে এবং অন্য শহীদদের মোগলবাসা ও আশপাশে কবর দেয়া হয়। [এস এম আব্রাহাম লিংকন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!