You dont have javascript enabled! Please enable it!

ডাঙ্গী গণহত্যা (আটোয়ারী, পঞ্চগড়)

ডাঙ্গী গণহত্যা (আটোয়ারী, পঞ্চগড়) ৬ই আগস্ট সংঘটিত হয়। গণহত্যায় নিহত ১৩ জনকে ডাঙ্গীতেই গণকবর দেয়া হয়।
৪ঠা আগস্ট ভোরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহিরুল, কমান্ডার কালাম, কমান্ডার আনোয়ার ও কমান্ডার আসিরের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা গোয়ালপাড়া মোড়ে এম্বুশের মাধ্যমে ৩ জন পাকসেনাকে ধরে ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যান। তাদের একজন পালিয়ে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠস্থ পাকক্যাম্পে খবর দিলে পাকসেনারা রকেট লঞ্চার দিয়ে মর্টার শেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এরপর পঞ্চগড়, রুহিয়া, আটোয়ারী থানা ক্যাম্প ও মির্জাপুর ক্যাম্প থেকে বিপুলসংখ্যক পাকসেনা গোয়ালপাড়ার আশেপাশের গ্রামগুলোতে হানা দিয়ে অনেক বাড়িঘর পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। তারা অনেক নিরীহ মানুষকে ধরে ডাঙ্গী ক্যাম্পের নির্যাতন সেলে বন্দি করে। দুদিন ধরে পাকসেনারা বাঙালিদের ওপর অমানবিক নির্যাতন শেষে ৬ই আগস্ট ১৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে। এ গণহত্যায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ডাঙ্গী গণহত্যায় নিহতরা হলেন- তছলিম উদ্দীন (পিতা রতব আলী সরকার, ধামোর; চেয়ারম্যান), শেখ আ. রহমান (ড্রাইভার, বাড়ি কুমিল্লা জেলায়), হাজী সমিরউদ্দীন (পিতা মহর আলী, গিরাগাঁও), মো. আফাজ উদ্দীন (পিতা নেয়াবলী, গিরাগাঁও), বুধু মোহাম্মদ (পিতা নেয়াবলী, গিরাগাঁও), মো. খলিলুর রহমান (পিতা রহিম উদ্দীন, ফুটকিবাড়ী), বাংড়া মুহাম্মদ (পিতা কেরামত আলী, গাঞ্জাবাড়ী), মো. কাশিম উদ্দীন (পিতা ধনবর মোহাম্মদ, ডাঙ্গী), বুধু মোহাম্মদ (পিতা ধনবর মোহাম্মদ, ডাঙ্গী), মো. আজিম উদ্দীন (পিতা ইন্তাজ আলী, মাটিগাড়া), বুদিন মোহাম্মদ (মাটিগাড়া), ঝাবর পাগলা (মাটিগাড়া) এবং মশারফ হোসেন (পিতা মোহাম্মদ আলী, গোয়ালপাড়া)। এ গণহত্যায় নিহতদের ডাঙ্গী গণকবরে দাফন করা হয়। এ গণকবরটি চিহ্নিত করা হয়েছে। [মো. রমজান আলী]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!