টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বধ্যভূমি ও গণকবর (টেকনাফ, কক্সবাজার)
টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বধ্যভূমি ও গণকবর (টেকনাফ, কক্সবাজার) উপজেলার অন্যতম বধ্যভূমি ও গণকবর হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। শহীদদের স্মরণে এখানে একটি স্মৃতিফলক স্থাপিত হয়েছে।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময়ে টেকনাফের ৭ জনের অধিক মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানপন্থী এদেশীয় দোসর রাজাকারদের প্ররোচনায় হানাদাররা মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলামকে ধরে টেকনাফে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে মরিচ্যা সড়ক, আমিন সড়ক হয়ে হেচ্ছা খালে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এরপর তাঁকে হাসপাতাল সংলগ্ন গণকবরে সমাহিত করা হয়। এখানে আরো বহু মুক্তিযোদ্ধাকে কবর দেয়া হয়। স্বাধীনতার পর এ বধ্যভূমিতে মানুষের অনেক হাড় ও কঙ্কাল পাওয়া গেছে।
১৯৭২ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি এম আবদুস শুক্কুর, প্রফেসর মোহাম্মদ ইউছুপ, আমিনুজ্জামান, ওমর ছিদ্দিক মেম্বরসহ কয়েকজন এ বধ্যভূমি থেকে বহু শহীদ মুক্তিযোদ্ধার হাড়, কংকাল সংগ্রহ করে দাফন করার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে শহীদদের স্মরণে করবস্থান সংলগ্ন পুরাতন হাসপাতালের সামনে (থানার সামনে) একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। এটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে এবং মাঠটি বর্তমানে ঈদগাহ ময়দান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড