You dont have javascript enabled! Please enable it!

জোহা হল সংলগ্ন বধ্যভূমি ও গণকবর (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)

জোহা হল সংলগ্ন বধ্যভূমি ও গণকবর (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) রাজশাহী সদরে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলে পাকিস্তানি বাহিনীর রাজশাহী জেলার মূল ঘটি ছিল। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ড. শামসুজ্জোহার স্মরণে হলটির নামকরণ করা হয়েছিল শহীদ শামসুজ্জোহা হল। সেই জোহা হলের পবিত্রতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জোহা হলকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে। এটি একটি নির্যাতনকেন্দ্রও ছিল। রাজশাহী জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে নিরীহ বাঙালিদের ধরে এনে এ ঘাঁটিতে অত্যাচার ও নির্যাতন করা হতো। হলের পেছনে এক বর্গমাইল এলাকাকে পাকিস্তানি বাহিনী গণকবর ও বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিল। তারা ৯ মাস ধরে হাজার-হাজার নারী-পুরুষকে এ বধ্যভূমিতে ধরে এনে হত্যা করে গণকবর দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিওন আবুল বাশার জোহা হলের নিকট বাস করত। তাকে কবর খননে বাধ্য করা হতো। তার ভাষ্য অনুযায়ী জোহা হলের নিকট ন্যূনপক্ষে তিন হাজার লাশ কবর দেয়া হয়। স্বাধীনতার পর এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়। [মো. মাহবুবর রহমান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!