জোড়াবাড়ি মির্জাগঞ্জ বালাপাড়া বধ্যভূমি (ডোমার, নীলফামারী)
জোড়াবাড়ি মির্জাগঞ্জ বালাপাড়া বধ্যভূমি (ডোমার, নীলফামারী) নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত। এখানে এপ্রিল মাসের শেষদিক থেকে মানুষ হত্যা শুরু হয় এবং ৬ই ডিসেম্বর ডোমার শত্রুমুক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। প্রতিদিনই পাকবাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনদের ধরে এনে এখানে হত্যা করত, যে-কারণে সকল শহীদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
এ বধ্যভূমিতে হত্যার শিকার কয়েকজন হলেন- পূর্ব বেতগাড়ার শহর উদ্দিন, আব্দুল আজিজ (পিতা শহর উদ্দিন), জোড়াবাড়ির মুনসুর আলী (পিতা মোজাম্মেল), আব্দুল হক, আব্দুল গফুর, আব্দুল হাকীম প্রমুখ। স্থানীয় রাজাকার নবির উদ্দিন ও মুনসুর আলী এ-দুজন শহর উদ্দিনের পুত্রবধূ মর্জিনা বেগমের শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে পিতা ও পুত্রকে হত্যা করে এবং উল্লিখিতদের পাকবাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। পাকবাহিনীকে সহায়তাদানকারী এলাকার চিহ্নিত রাজাকাররা হলো— মির্জাগঞ্জের ইউসূফ আলী, হোসেন আলী, আফতাব উদ্দিন, আব্দুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, আজিজার রহমান, জোড়াবাড়ির পি সি আব্দুল মজিদ, নূরুল ইসলাম, জব্বার আলী, মজির উদ্দিন, আনসার আলী প্রমুখ। [আহম্মেদ শরীফ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড