জিগাতলা গণহত্যা (ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ)
জিগাতলা গণহত্যা (ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ) সংঘটিত হয় মে মাসে। এতে এ দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৩ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে। ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে জিগাতলা গ্রাম অবস্থিত। পাকবাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার ও দালালদের সহযোগিতায় জিগাতলা, জরিপাপাড়া ও ঘোষগাঁওয়ে গণহত্যা চালিয়ে ১৩ জন গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে, যা জিগাতলা গণহত্যা নামে অভিহিত। এ গণহত্যায় শহীদরা হলেন- হায়দার আলী (জিগাতলা), আবদুল হেলিম (জিগাতলা), সুরুজ আলী (জিগাতলা; এদের রাজাকার বাহিনী দ্বারা গ্রেফতার করে নির্যাতন শেষে গুলি করে হত্যা করা হয়), মফিজ উদ্দিন (জিগাতলা; একে গ্রেফতার করে পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙ্গে জীবিত অবস্থায় বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়া হয়), সুবেদ আলী (পিতা শেখ মিয়ারিশ, জরিপাপাড়া), গজনবী (পিতা শেখ মিয়ারিশ, জরিপাপাড়া), আবদুল করিম (পিতা শেখ মিয়ারিশ, জরিপাপাড়া; এদের গ্রেফতার করে নিজ বাড়িতে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে), মন্তাজ উদ্দিন (ঘোষগাঁও বাজার), রব্বানী (জিগাতলা), কাশেম মণ্ডল (দেবাল), আহাম্মদ আলী (ঘোষগাঁও), কালু মিয়া (জিগাতলা), আবদুল মোতালেব (ভূঁইয়াপাড়া), মিছরির বাপ (ভূঁইয়াপাড়া) ও আবদুল লতিফ (চন্দ্রকোনা; এদের বেঁধে নির্যাতন শেষে গুলি করে হত্যা করা হয়)। [শফিউদ্দিন তালুকদার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড