জিনারহাট যুদ্ধ (ছাগলনাইয়া, ফেনী)
জিনারহাট যুদ্ধ (ছাগলনাইয়া, ফেনী) সংঘটিত হয় ৩১শে আগস্ট। এতে ২০-২৫ জন রাজাকার ও পাকিস্তানি মিলিশিয়া নিহত এবং বহু আহত হয়। ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার একটি বাজার জিনারহাট। পাকিস্তানি বাহিনী সম্পর্কে গোপন তথ্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ফাঁস করার অভিযোগে যুদ্ধের কয়েকদিন আগে রাজাকাররা জঙ্গলমিয়া বাজার ঘেরাও করে মানিক গ্রামের আলাউদ্দিন এবং রুহিতা গ্রামের মীর হোসেনকে হত্যা করে। বিষয়টি জানতে পেরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হোসেন রাজাকারদের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। ৩১শে আগস্ট রাতে আবুল হোসেন তাঁর দলবল নিয়ে জঙ্গলমিয়া বাজারের নিকটবর্তী দক্ষিণ আধার মানিক গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জামালের বাড়িতে (বজলুর রহমান চৌধুরী বাড়ি) অবস্থান নেন। কিছু সংখ্যক রাজাকার ও পাকিস্তানি মিলিশিয়া জিনারহাট বাজার হয়ে করৈয়া যাবে বলে তাঁরা খবর পান। তখন তাঁরা কিছুটা দূরে অবস্থানকারী আমীর হোসেন গ্রুপ এবং ইপিআর-এর একটি গ্রুপের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে সম্মিলিতভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য জিনারহাট বাজার সংলগ্ন পাশের রাস্তায় এম্বুশ করে অপেক্ষায় থাকেন। গভীর রাতে মিলিশিয়া ও রাজাকাররা আওতার মধ্যে এলে মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। এতে শত্রুপক্ষের ২০-২৫ জন নিহত এবং বহু আহত হয়। এ-যুদ্ধে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা (রুহুল আমিন ও আবদুল হক) শহীদ হন। [মো. ফখরুল ইসলাম]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড