১৩ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পাক বাহিনী হেলিকপ্টার এবং জঙ্গি বিমানের সাহায্যে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান সনাক্ত করে। পরে পাক বিমান বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বোমাবর্ষণ করে। বোমাবর্ষণে ক্যাপ্টেন মতিনের বাহিনীর একজন সিপাহী মারা যান। ক্যাপ্টেন মতিনের বাহিনী এদিন আশুগঞ্জের লালপুর অবস্থান নেয়। ক্যাপ্টেন নাসিমের বাহিনী তখন আশুগঞ্জে। এদিন সেখানে সুবেদার আফতাবের ৪০-৫০ জনের একটি দল যুক্ত হয়। ক্যাপ্টেন নাসিম সুবেদার আফতাবকে ভৈরবের দক্ষিন রামপুরে অবস্থান নিতে বলেন। আফতাবের দল সেখানে পৌছা মাত্রই তারা দেখতে পায় রেল লাইন ধরে পাক বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে। সেখানে উভয়পক্ষে যুদ্ধ হয়। পাশাপাশি বিমানের মহড়া চলতে থাকে। সুবেদার আফতাবের বাহিনী পাকিস্তানী বাহিনীর অগ্রযাত্রা রোধ করতে সক্ষম হয়।