বীর প্রতীক জালাল আহমেদ
জালাল আহমেদ, বীর প্রতীক (জন্ম ১৯৩২) অনারারি ক্যাপ্টেন, মুক্তিযুদ্ধের একজন অকুতোভয় সৈনিক এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৩২ সালের ৩১শে জানুয়ারি ফেনী জেলার অন্তর্গত ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ কুহমা গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা শেখ আহাম্মদ এবং মাতা রহিমের নেছা।
জালাল আহমেদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন বাঙালি সৈনিক। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে তাঁর পোস্টিং ছিল চট্টগ্রামের ইবিআরসিতে। ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে আক্রমণ চালিয়ে
সেখানে প্রশিক্ষণার্থী নবীন ও অন্যান্য বাঙালি সৈনিকদের অধিকাংশকে হত্যা করে। তিনি ঘটনাক্রমে বেঁচে যান এবং বার আউলিয়ায় গিয়ে প্রতিরোধযুদ্ধে যোগ দেন। পরবর্তীতে ভারতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেন। এক পর্যায়ে জালাল আহমেদ অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন এবং রেজিমেন্টসহ ‘জেড’ ফোর্সের সঙ্গে যুক্ত হন। ৪ঠা আগস্ট তিনি নকশী বিওপিতে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। তিনি সিলেটের বড়লেখা ও ভানুগাছায়ও যুদ্ধ করেন। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে সুরমা নদীর দক্ষিণ তীরে পাকসেনাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি আহত হন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জালাল আহমেদকে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। তিনি ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীর নাম গুল বানু। [হারুন রশীদ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড