১৩ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ
রংপুরের এসপি ২৯ কেভেলরির একজন মেজরকে ড্রাইভার সাজিয়ে বদরগঞ্জ সফর করেন। উদ্দেশ্য মুক্তিবাহিনীর অবস্থান রেকি করা। বদরগঞ্জে লেঃ সালাম ছদ্মবেশী ড্রাইভারকে চিনে ফেলেন তিনি তাদের চ্যালেঞ্জ করেন। মেজর তার সঠিক পরিচয় দিলে লেঃ সালাম এসপি ও মেজরকে আটক করেন। পরে মেজরকে হত্যা করা হয়। মার্চে লেঃ সালামের গর্ভবতী স্ত্রী পাকবাহিনীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। এসপি পরে পালিয়ে যান। এর পর পাক বাহিনী ট্যাঙ্ক নিয়ে সালামের বাহিনীর উপর আক্রমন করে সালাম তাদের সাথে পেরে না উঠতে পেরে ফুলবাড়ি অবস্থান নেন। মুসলিম লীগের নেতারা সালামের অবস্থানের কথা পাক বাহিনীকে জানিয়ে দেয়। পাক বাহিনী এখানেও আক্রমন চালায়। পরে সালামের বাহিনী দক্ষিনে চরখাই অবস্থান নেয়। সদর দপ্তর করা হয় হিলিতে। দিনাজপুরের খানসামাতে এদিন যুদ্ধ হয়। ৮ বালুচের ডি কোম্পানি এখানে যখন আসে তখন এখানে মুক্তিবাহিনী ছিল না। খবর পেয়ে সুবেদার কাজিম সুবেদার হাফিজের দলটিকে সেখানে পাঠান। এখানে পাক বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়। দুটি ট্রাক ও অস্র মুক্তিবাহিনীর হস্তগত হয়। দুপুরে পাক বাহিনী ট্যাঙ্ক আর্টিলারি নিয়ে দিনাজপুর আক্রমন করে। পাক বাহিনীর আক্রমনে মুক্তিবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। দিনাজপুর পাক বাহিনীর দখলে চলে যায়। এখানকার বাহিনী বিরল সীমান্তে চলে যায়। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ২০০ ইপিআর এসে যোগ দেয়।