জাফরগঞ্জ বধ্যভূমি (রংপুর সদর)
জাফরগঞ্জ বধ্যভূমি (রংপুর সদর) রংপুর শহর থেকে ৪ কিমি পশ্চিমে রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কে জাফরগঞ্জ ব্রিজের নিচে ও সন্নিকটস্থ স্থানে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ বধ্যভূমিতে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করে।
মুক্তিযোদ্ধাদের উপর্যুপরি গেরিলা আক্রমণে বিপর্যস্ত হানাদার বাহিনী প্রতিশোধস্পৃহায় সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়। রংপুর বেতার ও ওরিয়েন্টাল সিনেমা হলের সামনে মুক্তিযোদ্ধারা গ্রেনেড বিষ্ফোরণ ঘটালে হানাদারদের ধরপাকড় এবং অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। তারা রেডিও স্টেশন ও শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ধরে এনে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে অমানবিক নির্যাতন চালায়। ১০ই জুন মধ্যরাতে তারা ২৪ জনকে জাফরগঞ্জ বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। শহীদদের অনেকেই ছিলেন দূর-দূরান্তের। ফলে সকলের পরিচয় জানা যায়নি। এখানে যাদের হত্যা করা হয়, তাদের মধ্যে ছিলেন- রেনু বালা ঘোষ (পিতা রাখালচন্দ্র ঘোষ, গোমস্তাপাড়া), অশ্বিনী কুমার ঘোষ (পিতা ফটিক চন্দ্র ঘোষ, গোমস্তাপাড়া), রবি (গোমস্তাপাড়া) প্রমুখ। ব্রিজের খানিকটা পূর্বদিকে রাস্তার পাশেই হত্যা করা হয় ইকরচালী ইউনিয়ন থেকে ধরে আনা সিপাহি সাবের মিয়া ও সিপাহি নুর মোহাম্মদকে। [গীতিময় রায়]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড