জয়তুল গণহত্যা (কাহালু, বগুড়া)
জয়তুল গণহত্যা (কাহালু, বগুড়া) সংঘটিত হয় ৮ই মে। এদিন পাকিস্তানি বাহিনী কাহালু উপজেলার জয়তুল গ্রামে আক্রমণ করে ৭০ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে।
জয়তুল গ্রামটি উপজেলা সদরের কাহালু রেলস্টেশন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানকার গণহত্যায় পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী ছিল তাদের স্থানীয় দোসর জনাব আলীর নেতৃত্বাধীন প্রায় ৫০ জনের একটি বাহিনী। দোসরদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী জয়তুল গ্রামে প্রবেশ করে। তারা জয়তুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে গ্রামের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা গুলি করে ৭০ জনের মতো গ্রামবাসীকে হত্যা করে। জয়তুল গণহত্যায় নিহতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে, তারা হলেন- আছার আলী, কুণ্ডু প্রামাণিক, নাছির উদ্দিন, জানিকা, মোহাম্মদ আলী, আকবর আলী, আব্দুল খালেক, আব্দুল খালেকের স্ত্রী, নিয়ামত উল্লাহ, ময়েজ উদ্দিন, মোবারক আলী, সাহাদত আল সদু, চুইমুদ্দিন, লবিজ উদ্দিন, মোজাহার আলী, আবুল কাশেম দুলু, খোকা, আজাহার আলী, লছির প্রামাণিক, আব্দুস সামাদ প্রামাণিক, আব্দুল জোব্বার প্রামাণিক, আব্দুল মালেক প্রামাণিক, আফসার আলী প্রামাণিক, সেদু শাহ্, দছির শাহ্, ধলু প্রামাণিক, রমজান আলী প্রামাণিক, লবিস শাহ্, ছহির উদ্দিন, মহির উদ্দিন, হেতা প্রামাণিক, হাতিম প্রামাণিক, হযরত শেখ, বছির উদ্দিন শেখ, মকবুল শেখ, আব্দুল মালেক শেখ, লিতো ও দছিমউদ্দিন শাহা। পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা চালিয়ে চলে যাওয়ার পর নিহতদের লাশগুলোকে আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসী তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে। [আহম্মেদ শরীফ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড