জঙ্গলবাড়ি গণহত্যা (কুমিল্লা আদর্শ সদর)
জঙ্গলবাড়ি গণহত্যা (কুমিল্লা আদর্শ সদর) মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ গণহত্যায় ৫ জন মানুষ শহীদ হন।
কুমিল্লা শহর থেকে উত্তর দিকে ১২-১৩ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার জঙ্গলবাড়ি গ্রাম। গ্রামটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় এখানে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের আশঙ্কা ছিল কম। একদিন হঠাৎ করেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ গ্রামে প্রবেশ করে বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং গণহত্যা চালায়। এ গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ডা. আবদুল ওয়াহেদ। আবদুল ওয়াহেদ তাঁর পিতাকে বাড়ি ছেড়ে যেতে বললেও তিনি রাজি হননি। হানাদারদের ভয়ে আবদুল ওয়াহেদসহ অন্যরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে টিলার ওপর উঠে দেখেন তাদের বাড়ি আগুনে পুড়ছে। হানাদার বাহিনী চলে যাবার পর তিনি তার চাচাতো ভাইসহ বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তার পিতার মৃতদেহ পড়ে আছে। অন্য ঘরে গিয়ে দেখেন চাচি মরহুম নোয়াব আলীর স্ত্রী, চাচাতো ভাই আজগর আলী ও বেড়াতে আসা ফুফা সবার লাশ। তাদের মধ্যে দুজনের লাশ দাফন করা হয় গ্রামের মসজিদের সামনে, অন্যদের লাশ ভারতের মাটিতে নিয়ে দাফন করা হয়। [মামুন সিদ্দিকী]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড