ছাব্বিশা গণহত্যা (ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল)
ছাব্বিশা গণহত্যা (ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল) সংঘটিত হয় ১৭ই নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ছাব্বিশা গ্রামে। গ্রামটি বর্তমানে ভূঞাপুর পৌরসভার অধীন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটি গোবিন্দাসী ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখানে সংঘটিত সম্মুখ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটলে পাকবাহিনী গ্রামটিতে গণহত্যা চালিয়ে ৩২ জন নারী-পুরুষকে হত্যা করে। এ গণহত্যায় শহীদ হন বিশা মণ্ডল (পিতা ইসমাইল মণ্ডল), মনির উদ্দিন (পিতা ইয়াসীন আলী), ওমর আলী (পিতা পাগু সরকার), সাজেদা বেগম (স্বামী ওমর আলী), রাবেয়া খাতুন (পিতা ওমর আলী), খালেদা খাতুন (নানা ওমর আলী), ইসমাইল হোসেন (পিতা কিতাবুল্লাহ), মমতাজ উদ্দিন (পিতা কিতাবুল্লাহ), শমসের আলী (পিতা আহসান আলী), মছিরন নেছা (স্বামী ময়েজ শেখ), আয়নাল হক (আবদুল জুব্বার মুন্সীর দিনমজুর), হাফেজ উদ্দিন (পিতা গোল হোসেন), দানেছ আলী (পিতা বছির উদ্দিন সরকার), তাছেন আলী (পিতা বছির উদ্দিন সরকার), হায়দার আলী (পিতা দানেছ আলী), সেকান্দর আলী (পিতা নতিবুল্লাহ), রমজান আলী (পিতা সেকান্দর আলী), কোরবান আলী (পিতা আয়েতুল্লাহ), মাহমুদ আলী (পিতা ময়েজ শেখ), আবুল হোসেন (সিরাজ আলীর দিনমজুর), ইউসুফ আলী (পিতা আবদুল জুব্বার মুন্সী), শফিকুল ইসলাম (পিতা আবদুল জুব্বার মুন্সী), মোতালেব হোসেন (পিতা আবদুল জুব্বার মুন্সী), ইয়াকুব আলী (পিতা মাজম আলী), শুকুর মাহমুদ মণ্ডল (পিতা আবদুস সোবহান মণ্ডল), বাহাজ উদ্দিন মণ্ডল (পিতা গোমর মণ্ডল), আব্দুল গফুর (পিতা হাজী হোসেন আলী), রাবেয়া খাতুন (পিতা আব্দুল শেখ), জহির উদ্দিন (পিতা জসিম উদ্দিন), সোনাউল্লাহ (পিতা সায়েদ আলী), সিরাজ আলী (পিতা ময়েজ শেখ) ও হোসনা খাতুন (পিতা গোলাপ মিয়া, ওমর আলীর আত্মীয়া। সেদিন মারাত্মক আহত হয়ে বেঁচে আছেন সাহেবুল্লাহ (পিতা ইসমাইল তালুকদার) ও নিজাম উদ্দিন (পিতা দানেজ আলী)। শহীদদেরকে ছাব্বিশা গ্রামেই গণকবরে সমাহিত করা হয়। ছাব্বিশা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদদের নামাঙ্কিত একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। [শফিউদ্দিন তালুকদার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড