ছাতনি সুইচ গেট গণহত্যা (নাটোর সদর)
ছাতনি সুইচ গেট গণহত্যা (নাটোর সদর) সংঘটিত হয় ৩রা জুন। পাকহানাদার বাহিনী ও বিহারিদের হাতে এদিন দুশত লোক শহীদ হন।
নাটোর শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে ছাতনি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের নাটোর-তাহেরপুর সড়কের পাশে ছাতনি সুইচ গেট অবস্থিত। ঘটনার দিন ভোরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিহারিদের নিয়ে ছাতনি ও তার আশপাশের গ্রাম আক্রমণ করে। এ-সময় তারা ছাতনি-ভাবানি-আমহাটি-শিবপুর- ভাটপাড়া প্রভৃতি গ্রাম ঘিরে ফেলে। এরপর তারা গ্রামের ২০০ নিরীহ নারী-পুরুষ ও শিশুকে ধরে এনে ছাতনি সুইচ গেটের নিকট জড়ো করে। আটককৃতদের লাইনে দাঁড় করিয়ে হানাদার বাহিনী ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। কেউ-কেউ ব্রাশ ফায়ারের পরও বেঁচে ছিলেন। সে অবস্থায় আহতদেরকে বিহারি জল্লাদ আবদুর রহমান ও শের মাহমুদ ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে, তারা হলেন- মনিরুজ্জামান, নুরুজ্জামান, কালা মিয়া, আব্দুল মান্নান, কফিউল্লাহ, আবু বক্কার, নূর মোহম্মদ, আব্দুল্লাহ, হোসেন আলী, কালা পাল, নিমাইচন্দ্র, সুকুমার, আজহার উদ্দিন, আব্দুল জলিল, জালিম উদ্দিন, এন্তাজ আলী, ইব্রাহিম, আব্দুস সামাদ, সাধু, মনু, রুহুল আমীন, কিয়ামত আলী, কাছির উদ্দিন, আছের উদ্দিন, আব্দুল বাছেদ, রিয়াজ উদ্দিন, সুলতান আহমেদ, শুকবাস, মেহের আলী, ওসমান শেখ, ইয়ার উদ্দিন, এছার উদ্দিন, এরফান আলী, আব্দুল হামিদ, আব্দুল ওয়াহেদ, শওকত আলী, ছাবের আলী, সানোয়ার আলী, আনোয়ার আলী, আনোয়ার হোসেন, রজব আলী, রইচ উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, রাম কান্ত, রাখালচন্দ্র, আবুল হোসেন, আমিরুল ইসলাম, আশরাফ আলী, আকরাম হোসেন, আকবর হোসেন, আক্কাস আলী, হারুন আর রশীদ, হারাণ চন্দ্র, হরিপদ, হৃদয়নাথ, হাবিবুর রহমান, আব্দুল হান্নান, পরিমল কুমার, প্রশান্ত কুমার, সাকাব্বর হোসেন, সাব্বির হোসেন, সোলেমান আলী, সুজাউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন, সালাউদ্দিন, মামুনুর রশিদ, সামসুর রহমান, সামসুল ইসলাম, সামসুল হক, ইন্তাজুর রহমান, বদন শেখ, বাহার উদ্দিন, বাহাদুর আলী, বলরাম, মহসিন আলী, আজাহার আলী ও বদন আলী শেখ। [মতিউর রহমান মর্তুজা]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড