You dont have javascript enabled! Please enable it!

চৌফলদণ্ডী প্যারাবন গণহত্যা (কক্সবাজার সদর)

চৌফলদণ্ডী প্যারাবন গণহত্যা (কক্সবাজার সদর) সংঘটিত হয় মে মাসে। এতে কয়েকজন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়।
কক্সবাজার দখলের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজাকারদের সহায়তায় চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ায় যায়। নুনিয়াছড়ার আব্দুল জলিল ও স্থানীয় সিকদার পাড়ার গুরা মিয়া তাদের সহযোগিতা করে। কক্সবাজার বিমানবন্দরে বোমা বর্ষণের দুদিন আগে পাকিস্তানি সৈন্যরা লঞ্চযোগে রাত দেড়টার দিকে চৌফলদণ্ডী লঞ্চ ঘাটে এসে অবস্থান গ্রহণ করে। ১০-১২ জন পাকিস্তানি সৈন্য ৩-৪ জন রাজাকারের সহায়তায় ঘাট থেকে বাজারে প্রবেশ করে। স্থানীয় ডাক্তার আবদুর রশীদের মাধ্যমে ধীরেন্দ্র লাল দে (ভেক্কা মহাজন)-কে দোকান থেকে ডেকে বন্দি করে। পরে তারা উত্তর পাড়ায় গিয়ে ফতেহ আলীর তিন পুত্র মোহাম্মদ আলী, আবু সামা ও আবুল কাসেম এবং কবির আহমদ, আলী আহমদ ও দরবেশ আলীকে ঘর থেকে ডেকে বের করে বাজারে নিয়ে আসে। এ-সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতার পক্ষের ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজনের ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এরপর আলী আহমদ ও দরবেশ আলীকে ছেড়ে দিয়ে অপর চারজনকে নিয়ে নৌকায় করে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয়। নৌকার ওপর বন্দি অবস্থায় তাদের ব্রাশফায়ার করে। ঘটনাস্থলেই তারা প্রাণ হারান এবং হানাদাররা চৌফলদণ্ডীর প্যারাবন নদীতে তাদের লাশ ফেলে দেয়। কয়েকদিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবুল কাসেম ও মোহাম্মদ আলীর লাশ সমুদ্র থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। [জগন্নাথ বড়ুয়া]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!