চৈত্রঘাট গণহত্যা (কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার)
চৈত্রঘাট গণহত্যা (কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার) সংঘটিত হয় ১৪ই এপ্রিল। এতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ শহীদ হন।
রহিমপুর ইউনিয়নের ধলাই নদীর তীরবর্তী চৈত্রঘাট গ্রাম ও প্রতাপী চৈত্রঘাটে (সাধারণভাবে এ দুগ্রাম চৈত্রঘাট নামে পরিচিত) রাজাকার- ও আলবদর বাহিনীর সহায়তায় হানাদার পাকসেনারা হামলা করে অনেক হিন্দু পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গুলি করে হত্যা করে। রাজাকার আব্দুল করিম, সিদ্দেক মিয়া, সইদুর রহমান, সোহরাব মিয়া, শাহবাজ মিয়া, এরশাদ, মোস্তফা মিয়া, ফটিক মিয়া, রইছ মিয়া, মন্নাফ মিয়া প্রমুখ পাকবাহিনীকে গ্রামে নিয়ে আসে। হানাদার বাহিনীর সদস্যরা গ্রামে ঢুকেই গুলি শুরু করে। এরপর প্রতিবাড়ি থেকে নিরীহ ও নিরপরাধ পুরুষ হিন্দু সদস্যদের ধরে নিয়ে ধলাই নদীর তীরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে এবং অনেককে হত্যার পর মরদেহগুলো ধলাই নদীতে ফেলে দেয়।
এ গণহত্যায় নিহতদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন— সুখময় দেব (পিতা সুরেন্দ্র কুমার দেব), সুনাচান দেব খোকা (পিতা সুরেন্দ্র কুমার দেব), নরেন্দ্র লাল দেব (পিতা সম্ভুলাল দেব), নৃপেন্দ্র দেব (পিতা নরেন্দ্র লাল দেব), যতীন্দ্র কুমার দেব (পিতা রাম কুমার দেব), সোনা চাঁন দেব (পিতা সুরেশ দেব), সুখেন্দু দেব (পিতা সুরেশ দেব), সুরেশ দেব, বনমালী গোস্বামী (পিতা ব্রজলাল গোস্বামী), গজলাল গোস্বামী (পিতা ব্রজলাল গোস্বামী), ইরেশ লাল দত্ত (পিতা রাজেন্দ্র দত্ত), মনমোহন দত্ত (পিতা মহেন্দ্ৰ দত্ত) এবং মদন দত্ত (পিতা মহেন্দ্ৰ দত্ত)। [মুজিবুর রহমান রঞ্জু]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড