You dont have javascript enabled! Please enable it! চিলাহাটি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয় বধ্যভূমি (ডোমার, নীলফামারী) - সংগ্রামের নোটবুক

চিলাহাটি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয় বধ্যভূমি (ডোমার, নীলফামারী)

চিলাহাটি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয় বধ্যভূমি (ডোমার, নীলফামারী) নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে অবস্থিত। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে ৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বধ্যভূমিতে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। চিলাহাটি স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে এখানে একটি বড় রেলওয়ে স্টেশন গড়ে উঠেছে। ফলে এখানে সব সময়ই বিভিন্ন ধরনের লোকজনের সমাগম ঘটত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এপথে শরণার্থী হিসেবে অনেকেই ভারতে যায়। সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন হওয়ায় পাকবাহিনী এখানে তাদের শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তোলে, যাতে মুক্তিযোদ্ধারা এপথে ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করতে না পারে। পাকবাহিনীর হত্যা এবং নির্যাতনে স্থানীয় রাজাকার-রা সহায়তা করত। তারা শরণার্থীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন ও তাদের মালামাল লুট করত। লুটতরাজে বাধা পেলে তারা শরণার্থীদের হত্যা করত। চিলাহাটি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয় বধ্যভূমিতে যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা প্রায় সবাই বহিরাগত। এখানে পাকবাহিনী শুধু একদিনে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে হত্যা করে পুঁতে রাখে। এ বধ্যভূমিটি স্কুলের ভেতরে দেয়ালে ঘেরা ছিল তবে হত্যার ব্যাপকতার জন্য এ বধ্যভূমিটি কবরস্থান হিসেবে পরিচিতি পায়।
এ এলাকায় যেসব রাজাকার নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন, করে তারা হলো- চিলাহাটির ইউনুস আলী সরকার, ইহাদ উল্লাহ মণ্ডল, জিল্লুর রহমান, ইয়াসিন আলী, বি এ এন সিদ্দিকুর, তোফাজ্জল হোসেন সরকার, আমিনুর রহমান, আফাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। [আহম্মেদ শরীফ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড