You dont have javascript enabled! Please enable it!

চুটলিয়া ব্রিজ যুদ্ধ (ঝিনাইদহ সদর)

চুটলিয়া ব্রিজ যুদ্ধ (ঝিনাইদহ সদর) সংঘটিত হয় ২রা ডিসেম্বর। এ-যুদ্ধে ১ জন পাকিস্তানি সৈন্য ও ২ জন রাজাকার নিহত হয়। অপরদিকে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা থেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে সুরাট ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি গ্রাম চুটলিয়া। এ গ্রামের পশ্চিম দিক দিয়ে ঝিনাইদহ-যশোর পাকা সড়ক খুলনা পর্যন্ত চলে গিয়েছে। চুটলিয়া মোড়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে চুটলিয়া ব্রিজের অবস্থান। যশোর থেকে ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকারদের একটি গ্রুপ এ ব্রিজটিতে সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকত। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হতো। কাজেই চুটলিয়া ব্রিজ থেকে হানাদার ও রাজাকারদের উৎখাত করার প্রয়োজন দেখা দেয়। এ কারণে ২রা ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপ চুটলিয়া ব্রিজে অবস্থানরত হানাদার ও রাজাকারদের ওপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ চালায়। শত্রুপক্ষও মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করে। প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলে। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে টিকতে না পেরে এক পর্যায়ে হানাদার ও রাজাকাররা ব্রিজ ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ-যুদ্ধে ১ জন পাকিস্তানি সৈন্য ও ২ জন রাজাকার নিহত হয়। অপরদিকে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। শত্রুদের ফেলে যাওয়া ১টি রাইফেল মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। [শফিউদ্দিন তালুকদার]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!