চিলমারী থানা অপারেশন (চিলমারী, কুড়িগ্রাম)
চিলমারী থানা অপারেশন (চিলমারী, কুড়িগ্রাম) পরিচালিত হয় ১৯শে জুলাই। খায়রুল আলম কোম্পানি-র মুক্তিযোদ্ধারা এ অপারেশন পরিচালনা করেন। এতে একজন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত ও অনেকে আহত হয়। অপারেশনের পর থানা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে।
চিলমারীতে পাকিস্তানি সৈন্যদের ব্যাপক সমাবেশ ছিল। তাদের সঙ্গে রাজাকার- ও ইপিক্যাপ-এর কয়েকটি বড় দল ছিল। কুখ্যাত দালাল ও রাজাকার শামসুল হক পঞ্চ মিয়া, অলি মোহাম্মদ, আজিজুর রহমান ভাটু ও হামিদুল হকের মতো স্বাধীনতাবিরোধীদের ব্যাপক দাপট ছিল গোটা চিলমাপরীতে। এ অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধারা চিলমারী থানায় অপারেশন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। খায়রুল আলম কোম্পানির কমান্ডার ও গেরিলা যোদ্ধা খায়রুল আলম (প্রকৃত নাম নজরুল ইসলাম)-এর নেতৃত্বে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা ১৯শে জুলাই বিকেল ৩টায় থানায় গেরিলা আক্রমণ করেন। তাঁদের অতর্কিত আক্রমণে পাকিস্তানি সৈন্যরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। তারা প্রতিরোধ করার কোনো সুযোগ পায়নি। প্রাণে বাঁচতে তারা থানার পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে ১ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত ও অনেকে আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা থানা থেকে ১২টি রাইফেল, ২০০ রাউন্ড গুলি, ৫টি হেলমেট ও বেশকিছু বেয়নেট হস্তগত করেন। [এস এম আব্রাহাম লিংকন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড