You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.11 | চামুরিয়া ভদ্রবাড়ি গণহত্যা (ঘাটাইল, টাঙ্গাইল) - সংগ্রামের নোটবুক

চামুরিয়া ভদ্রবাড়ি গণহত্যা (ঘাটাইল, টাঙ্গাইল)

চামুরিয়া ভদ্রবাড়ি গণহত্যা (ঘাটাইল, টাঙ্গাইল) সংঘটিত হয় ১১ই ডিসেম্বর। টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং হামিদপুর বাজার থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে চামুরিয়া ভদ্রবাড়ি গ্রামের অবস্থান। গ্রামটি ঘাটাইল উপজেলার দিগর ইউনিয়নের অর্ন্তগত। ১৯৭১ সালের ১১ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদাররা এই গ্রামটিতে গণহত্যা চালায়। এদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকায় প্রত্যাবর্তনের পথে কিছু সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা বেতডোবা কবরস্থান সংলগ্ন কাশতলা- হামিদপুর রাস্তায় (পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিসের সন্নিকটে) প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক গুলি বিনিময় চলে। কিন্তু পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সংখ্যায় বেশি থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ তুলে নেন।
হানাদাররা চামুরিয়া ভদ্রবাড়ি গ্রামের আটজন এবং উত্তর বেতডোবা গ্রামের চারজনকে হত্যা করে হামিদপুর ব্রিজ হয়ে টাঙ্গাইলের দিকে চলে যায়। সেদিন চামুরিয়া ভদ্রবাড়ি গ্রামের যে আটজন হত্যার শিকার হন, তারা হলেন— ছমির উদ্দিন (পিতা তরিপ উল্লাহ মণ্ডল), বুজরক আলী (পিতা মোনছের আলী), আনছের আলী (পিতা বাঁশি ফকির), আনতাজ আলী (পিতা আনছের আলী), নান্নু খান (পিতা হায়দার আলী খান), আঞ্জুমান আরা (পিতা আমজাদ হোসেন মিঞা), আঁখি খাতুন (পিতা আমজাদ হোসেন মিঞা) এবং রোকেয়া খাতুন (পিতা মুসলিম উদ্দিন)। [শফিউদ্দিন তালুকদার]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড