You dont have javascript enabled! Please enable it!

চারঘাট ইপিআর বিওপি অপারেশন (চারঘাট, রাজশাহী)

চারঘাট ইপিআর বিওপি অপারেশন (চারঘাট, রাজশাহী) পরিচালিত হয় ২৯শে মার্চ। এতে চারঘাট ইপিআর কোম্পানি হেডকোয়ার্টার্স মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে।
চারঘাট থানার সীমানা বরাবর বেশ কয়েকটি বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি) ছিল। যেমন চারঘাট, মীরগঞ্জ, চিলমারি ও আলাইপুর। চারঘাট বিওপি ছিল কোম্পানি হেডকোয়াটার্স আর মীরগঞ্জ বিওপি ছিল প্লাটুন হেডকোয়ার্টার্স। চারঘাট কোম্পানি হেডকোয়ার্টার্সের কমান্ডার ছিলেন বাঙালি নায়েব সুবেদার সিরাজউদ্দিন লস্কর। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষাবলম্বন করেন এবং তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন চিলমারি, চারঘাট, আলাইপুর ও মীরগঞ্জ বিওপি-র জওয়ানদের নিয়ে ২৯শে মার্চ চারঘাট কোম্পানি হেডকোয়ার্টার্স দখল করেন। তিনি বিওপিসমূহের অবাঙালি জওয়ানদের নিরস্ত্র করে চারঘাট থানা হাজতে বন্দি করেন। চারঘাট বিওপির কোম্পানির বাঙালি কমান্ডার সুবেদার হাসান আলীকে নিরস্ত্র করে সিরাজউদ্দিন লস্কর কোম্পানি কমান্ডারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি খানপুর, সাহাপুর, দিয়ার খিজির, মাঝারদিয়াড় ও তালাইমারী বিওপির বাঙালি ইপিআর সদস্যদের চারঘাট থানার ইউসুফপুর হাইস্কুল মাঠে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন। এসব বিওপির অবাঙালি সদস্যদের বন্দি করে আনা হয়। এরপর সিরাজউদ্দিন লস্কর বাঙালি ইপিআরদের সঙ্গে নিয়ে সরদহ ক্যাডেট কলেজে গিয়ে কর্মরত বাঙালি অফিসার ক্যাপ্টেন বজলুর রশীদের নিয়ন্ত্রণাধীন বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেন। [মো. মাহবুবর রহমান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!