চাতলবিল-শাহবাজপুর গণহত্যা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর)
চাতলবিল-শাহবাজপুর গণহত্যা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর) সংঘটিত হয় ২৬শে এপ্রিল। এতে ১৮ জন কৃষক শহীদ হন। কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ওয়াপদা রেস্ট হাউজে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। এ ক্যাম্পের সেনারা ২৬শে এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ, চান্দিয়ারা, মজলিশপুর ও সরাইল উপজেলার বারিউড়া গ্রামের ১৮ জন কৃষককে শাহবাজপুর ব্রিজ এলাকায় তিতাস নদী থেকে আটক করে। কৃষকরা বিল থেকে ধান কেটে নৌকাযোগে ফিরছিল। হানাদাররা তাদের শাহবাজপুর ওয়াপদা রেস্ট হাউজের দক্ষিণে চাতলবিলে নিয়ে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় কাউকে-কাউকে শাহবাজপুর ব্রিজ সংলগ্ন তিতাস নদীতে হত্যা করা হয়। শাহবাজপুর ব্রিজ ও চাতলবিল এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। এ গণহত্যার শিকাররা হলেন- মৈন্দ গ্রামের আবু শামা (পিতা শাবাজ আলী), মঞ্জু মিয়া (পিতা আবদুল জলিল), আবদুল লতিফ (পিতা রিয়াজ উদ্দিন), সদা মিয়া (পিতা আবতাব উদ্দিন), আবদুর রহিম (পিতা দুঃখ মিয়া), আবদুল আলিম (পিতা দুঃখ মিয়া), আবদুর রহিছ (পিতা দুঃখ মিয়া), সাত্তার মিয়া (পিতা রিয়াজ উদ্দিন), আবদুস সামাদ (পিতা রিয়াজ উদ্দিন), সুরুজ আলী (পিতা আবদুল আলী), করম আলী (পিতা আফতাব উদ্দিন), তৈয়ব হোসেন (পিতা অহাব মুন্সি), মজু মিয়া (পিতা আলতাফ আলী), আফছার উদ্দিন (পিতা আবদুল করিম), নছর উদ্দিন (পিতা আবদুল করিম), চান্দিয়ারা গ্রামের আবদুর রহিছ (পিতা কালাগাজী), মজলিশপুর গ্রামের ফজল মিয়া এবং বারিউড়া গ্রামের কালা মিয়া (পিতা আবদুর রহিছ)। [জয়দুল হোসেন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড