চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ স্মৃতিস্তম্ভ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর)
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ স্মৃতিস্তম্ভ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর) স্বাধীনতার পরপর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে স্থাপন করা হয়। প্রায় ১০ ফুট উঁচু এ স্মৃতিস্তম্ভটিতে প্রতিবছর স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে শতশত লোক শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে নির্মিত স্বাধীনতার প্রথম স্মারক।
মহান মুক্তিযুদ্ধের পর নতুনরূপে স্থাপিত হলেও এ স্মৃতিস্তম্ভটি ১৯৬৭-৬৮ সালে প্রথম স্থাপন করা হয়। তখন মহান শহীদ দিবসে এ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা-শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হতো। অধ্যক্ষ এন এম খানের সময়ে কলেজ চত্বরে স্থাপিত এ স্মৃতিস্তম্ভটি ছিল অনেকটা রাজশাহীতে নির্মিত ভাষা-আন্দোলন-এর প্রথম শহীদ মিনারের মতো।
পাকহানাদার বাহিনী নবাবগঞ্জ শহর দখল করার কয়েকদিনের মধ্যে এ স্মৃতিস্তম্ভটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তারা এমনভাবে এটি ভেঙ্গে ফেলে যে, ইটগুলোও সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে অধ্যাপক নওয়াব আলীসহ প্রগতিশীল শিক্ষকদের উৎসাহে ও ছাত্রনেতা আবদুল মান্নান সেন্টুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্মৃতিস্তম্ভটি পুনর্নির্মিত হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় স্বাধীনতার স্মারকগুলোর অধিকাংশ বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর পার্কে একটি বিশাল শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে। এটি বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সবচেয়ে বড় স্মৃতিস্মারক। [মাযহারুল ইসলাম তরু]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড