You dont have javascript enabled! Please enable it!

চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন কাউন্সিল অপারেশন (কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম)

চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন কাউন্সিল অপারেশন (কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম) পরিচালিত হয় ১৫ই আগস্ট ‘অপারেশন জ্যাকপট: চট্টগ্রাম’-এর পরে। এতে শান্তি কমিটি-র ৩ জন সদস্য নিহত হয় এবং শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর বাকি সদস্যরা পালিয়ে যায়।
‘অপারেশন জ্যাকপট : চট্টগ্রাম’ পরিচালনার পূর্বে সাবমেরিনার এ ডব্লিউ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন নৌ-কমান্ডোরা চট্টগ্রাম শহর হয়ে চরলক্ষ্যায় এসে অবস্থান নেন। চরলক্ষ্যায় তাঁদের যেসব শেল্টার ছিল, সেগুলোর মধ্যে একটি ছিল ইব্রাহিম সওদাগরের বাড়ি। সফলভাবে অপারেশন পরিচালনার পর নৌ-কমান্ডোদের অস্ত্রশস্ত্র ইব্রাহিম সওদাগরের বাড়িতে রাখা হয়। পরে তিনি ক্যাপ্টেন করিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করতে তাঁকে অনুরোধ করেন। রাতে ক্যাপ্টেন করিম তাঁর বাহিনীর ৪০ জন যোদ্ধা ও ইব্রাহিম সওদাগরকে নিয়ে তাঁর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন কাউন্সিলের কাছাকাছি এলে তারা শান্তি কমিটির কতিপয় সদস্যসহ কয়েকজন রাজাকারকে সেখানে দেখতে পান। তখন ক্যাপ্টেন করিমের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধারা ইউনিয়ন কাউন্সিলে আক্রমণ চালান। রাজাকাররাও পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের এক পর্যায়ে শান্তি কমিটির ১ জন সদস্য নিহত এবং ২ জন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দি হয়। শান্তি কমিটির অপর সদস্য ও রাজাকাররা পালিয়ে যায়। এরপর ২ বন্দিকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ইব্রাহিম সওদাগরের বাড়িতে এসে অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করার পর ভেল্লাপাড়া সংলগ্ন শিকলবাহা খালের কিনারে এসে তাদের হত্যা করে খালে ফেলে দেন ৷ [শামসুল আরেফীন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!