You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.08.14 | চরপাড়া গণহত্যা (নরসিংদী সদর) - সংগ্রামের নোটবুক

চরপাড়া গণহত্যা (নরসিংদী সদর)

চরপাড়া গণহত্যা (নরসিংদী সদর) সংঘটিত হয় ১৪ই আগস্ট। এতে ১১ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন। নরসিংদী রেলস্টেশন থেকে মাত্র ৫ কিমি পশ্চিমে জিনারদী রেলস্টেশন। স্টেশনের উত্তরদিকে অবস্থিত বাজারের পূর্বপাশে ছিল পাকবাহিনীর ক্যাম্প। ১৩ই আগস্ট বেলা ২টার দিকে ন্যাভাল সিরাজ- মাত্র ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে অতর্কিতে ক্যাম্প আক্রমণ করেন। ঘণ্টা দুয়েক প্রবল যুদ্ধের পর হানাদার বাহিনীর ১৫ জন সৈন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং ২ জন নিহত হয়। অপরদিকে শিবপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খন্দকার শহীদ হন।
জিনারদীর যুদ্ধে (১৩ই আগস্ট) পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাকসেনারা পরদিন ১৪ই আগস্ট চরপাড়া ও মূলপাড়ায় নিরীহ জনগণের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। তারা চরপাড়ার ২৫টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত করে। এছাড়া তারা গ্রামের ১১ জন লোককে হত্যা করে। এ গণহত্যায় শহীদরা হলেন— রমিজ উদ্দিন (পিতা তুফান আলী, চরমাধবদী), নুরুল ইসলাম (পিতা ক্বারী সাহেব, চরমাধবদী), সরোজ কুমার অধিকারী (পিতা রামমোহন অধিকারী, মূলপাড়া), আ. মান্নান (চরপাড়া), সুরেশ চন্দ্র দাস (পিতা রাজমোহন দাস, চরপাড়া), উপেন্দ্র চন্দ্র কর (পিতা রমেশ চন্দ্র কর, চরপাড়া), অনিল চন্দ্ৰ দাস (পিতা যোগেশ চন্দ্র দাস, চরপাড়া), জায়তুন বেগম (স্বামী মো. ওহাদ আলী, বসন্তপুর), আ. হেকিম (পিতা ছবির উদ্দিন, চরপাড়া), মায়ারানী দাস (স্বামী আর্জুন মণ্ডল, চরপাড়া) এবং আলফাজ উদ্দিন (পিতা আজ্যা মিয়া, ভাটপাড়া)। [মুহম্মদ ইমাম উদ্দিন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড