You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.11.17 | চরপুমদি বাজার রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ) - সংগ্রামের নোটবুক

চরপুমদি বাজার রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ)

চরপুমদি বাজার রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ) পরিচালিত হয় ১৭ই নভেম্বর। এতে ১০-১২ জন রাজাকার- নিহত হয়।
কিশোরগঞ্জ থেকে আনুমানিক ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং হোসেনপুর উপজেলার পূর্ব প্রান্তে কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর মহাসড়কের পাশে চরপুমদি বাজার অবস্থিত। এ বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের মোকাবেলা করার জন্য চরপুমদি ইউনিয়ন তহশিল অফিসে ১৫-২০ জন রাজাকার একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। এরা নানাভাবে এলাকার লোকজনকে উৎপীড়ন করত, যেমন- গরু, খাসি, মুরগি প্রভৃতি জোরপূর্বক নিয়ে যেত। নারীদের ধর্ষণ করত। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী এ বিষয়গুলি বিন্নাটির বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নানকে জানায়। তিনি রাজাকারদের অত্যাচার বন্ধ করার জন্য রাজাকারদের ক্যাম্প আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। ১৭ই নভেম্বর মধ্যরাতে তিনি মো. মাহতাব উদ্দিন মোল্লা (বিন্নাটি), অমিত কিশোর দাস (কালটিয়া), মোস্তফা হোসেন (প্যাড়াভাঙ্গা) প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে স্টেনগান ও গ্রেনেডসহ চরপুমদির উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত ২টার দিকে ক্যাম্পের কাছাকাছি এসে তাঁরা প্রথমে রাজাকারদের অবস্থান লক্ষ করেন। এরপর সার্বিক পরিস্থিতি উপযোগী মনে করে তাৎক্ষণিক তাঁরা ক্যাম্প লক্ষ করে গ্রেনেড নিক্ষেপ ও ব্রাশ ফায়ার করেন। আকস্মিক এ আক্রমণে ক্যাম্পের ১০-১২ জন রাজাকার নিহত হয়। বাকিরা কেউ অক্ষত অবস্থায়, কেউ বা আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়। কিশোরগঞ্জ শহরস্থ পাকআর্মি ক্যাম্পে এ সংবাদ পৌঁছলে শেষরাতের দিকে এক ট্রাক ভর্তি আর্মি এসে লাশগুলো উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। [শাহ্ মো. আফতাব উদ্দিন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড