You dont have javascript enabled! Please enable it!

চন্দ্রপাড়া গণহত্যা (বাউফল, পটুয়াখালী)

চন্দ্রপাড়া গণহত্যা (বাউফল, পটুয়াখালী) ১৮ই সেপ্টেম্বর সংঘটিত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত এ গণহত্যায় অর্ধশতাধিক মানুষ শহীদ হন। উপজেলা সদর থেকে ২.৫ কিমি উত্তরে মদনপুরা ইউনিয়নে চন্দ্রপাড়া গ্রামের অবস্থান। ১৮ই সেপ্টেম্বর সকালে হানাদার বাহিনী চন্দ্রপাড়া গ্রামে গণহত্যা চালায়। এ গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী মো. ইসমাইল (৬৫)। ঘটনার দিন হানাদাররা শশীতলা নদীতে গানবোটযোগে আসে। সেখান থেকে -রাজাকার- কমান্ডার বাউফল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গনির দেখানো পথে পাকিস্তানি সৈন্যদের একটি দল পায়ে হেঁটে কালিশুরি যাওয়ার জন্য রওনা হয়। পথে তারা পূর্ব মদনপুরা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামে অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা শতাধিক ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। গ্রামের মানুষজন প্রাণভয়ে এদিক- সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে। হানাদারদের এলোপাতাড়ি গুলিতে অনেকে শহীদ হন। এ-সময় হানাদাররা কিছু লোককে বন্দি করে। হানাদার বাহিনী সিকদার বাড়ির ৩ জনসহ আটককৃতদের লাইনে দাঁড় করিয়ে একটি নারিকেল গাছের পাশে গুলি করে হত্যা করে। আটককৃতদের মধ্যে বাউফল হাইস্কুলের শিক্ষক আলাউদ্দিন মাস্টার (৬০) কৌশলে নিজকে মুক্ত করেন। চন্দ্রপাড়া গণহত্যায় প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ শহীদ হন। তাদের মধ্যে যাদের নাম পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন- আ. রাজ্জাক শিকদার (পিতা আজমত আলী শিকদার; কৃষক), কেরামত আলী আকন (৩৮) পিতা মোন্তাজ উদ্দিন আকন; চাকরিজীবী), মহসিন আকন (৩০) (পিতা সামছুল আকন, গ্রাম্য ডাক্তার), ইসমাইল (২৮), ছালামত আলী, সেরাজউদ্দিন শিকদার (পিতা নাজেম শিকদার), আ. রাজ্জাক মৃধা (৩৫) (পিতা রবজে আলী মৃধা), সেকান্দার আলী মৃধা (পিতা রহম আলী মৃধা), মো. তাজেম আলী মৃধা (পিতা জব্বার মৃধা), আব্দুল মজিদ শিকদার (পিতা তাজেম আলী শিকদার), আ. সোবহান হাওলাদার (পিতা আ. কাদের হাওলাদার), কাঞ্চন আলী আকন (পিতা মোন্তাজউদ্দিন আকন), সোনা খান (পিতা রমজান আলী খান) ও শাহাবুদ্দিন (পিতা সেকান্দার)। [ইব্রাহীম খলিল]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!