You dont have javascript enabled! Please enable it! গোলমুন্ডা রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (জলঢাকা, নীলফামারী) - সংগ্রামের নোটবুক

গোলমুন্ডা রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (জলঢাকা, নীলফামারী)

গোলমুন্ডা রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (জলঢাকা, নীলফামারী) পরিচালিত হয় আগস্ট মাসের শেষদিকে। এতে ৮ জন রাজাকার- নিহত হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়।
নীলফামারী জেলাধীন জলঢাকা উপজেলার একটি ইউনিয়ন গোলমুন্ডা। গোলমুন্ডায় একটি সাব-ক্যাম্প ও রাজাকার ক্যাম্প ছিল। উপজেলা থেকে উত্তর দিকে ৭ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। রাজাকার রফিকুল ইসলাম, তফিজ উদ্দিন, এহসান উদ্দিন, হোসেন আলী, মকবুল হোসেন, আবদার রহমান, ময়েজ উদ্দিন, আবদুল খালেক, সদরুদ্দিন, রশিদুল প্রমুখের নেতৃত্বে ক্যাম্পগুলো পরিচালিত হতো। প্রতিটি ক্যাম্পে ৭০-৮০ জন রাজাকার সবসময় অবস্থান করত। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— কফিল উদ্দিন (গলিগাড়ী), মাহবুবর রহমান (শৌলমারী), মোজাম্মেল হক (শৌলমারী), তোফাজ্জল হোসেন (শৌলমারী), আবদুর রহমান (শৌলমারী), বদরুল ইসলাম (মিরগঞ্জহাট), মহিউদ্দিন (গোলমুন্ডা), রেজাউল করিম (খুপামারা), শফিয়ার রহমান (খুটামারা), ওসমান গণি (কাঠালী), কছির উদ্দিন (কাঠালী), শমসের আলী (বালাপাড়া), ওমর আলী (শিমুলবাড়ি), আফতাব উদ্দিন (কৈমারী) প্রমুখ। এ ক্যাম্প থেকে রাজাকাররা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অত্যাচার-নির্যাতন, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করত। ফলে এলাকার মানুষ রাজাকারদের অত্যাচারে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এ পরিস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধারা গোলমুন্ডা রাজাকার ক্যাম্পে অপারেশন চালায়। এ অপারেশনে ৮ জন রাজাকার নিহত হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। [আহম্মেদ শরীফ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড