গোমদণ্ডী অপারেশন (বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম)
গোমদণ্ডী অপারেশন (বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম) পরিচালিত হয় ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এতে ৬ জন পাকসেনা ও ৩ জন রাজাকার- মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে এবং হানাদারদের কিছু অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়।
ঘটনার দিন ভোরবেলায় বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডীতে অবস্থানরত কতিপয় পাকিস্তানি সেনা ও ৩০ জন রাজাকারের ওপর আহমদ নবীর নেতৃত্বে তাঁর গ্রুপ অপারেশন পরিচালনা করে। হাবিলা সন্দ্বীপ ক্যাম্প থেকে গিয়ে গ্রুপটি পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের ওপর আক্রমণ সংঘটিত করলে তারাও পাল্টা আক্রমণ করে। উভয় পক্ষে প্রচুর গুলি বিনিময় হয়। দুই ঘণ্টারও অধিক এ যুদ্ধ চলে। শেষপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা পরাজিত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা ৬ জন পাকিস্তানি সেনা ও ৩ জন রাজাকারকে বন্দি করতে সক্ষম হন। অন্যরা পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা বন্দিদের কাছ থেকে ৬টি অটো চায়না রাইফেল ও ৩টি মার্ক-৪ রাইফেল উদ্ধার করেন। এরপর বন্দিদের নিয়ে হাবিলা সন্দ্বীপ ক্যাম্পে আসেন। পরে বন্দি ৩ জন রাজাকারকে শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় এবং ৬ জন বন্দি পাকিস্তানি সেনাকে মিত্রবাহিনী-র কাছে সোপর্দ করা হয়। এ অপারেশনে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- কমান্ডার আহমদ নবী (হুলাইন), মো. আবুল কালাম (পিতা তরম আলী, বারৈকাড়া), মো. ইবরাহিম চৌধুরী (পিতা নুর আহমদ চৌধুরী, বারৈকাড়া), কামাল আহমেদ (বারৈকাড়া), আশুতোষ, সুধাংশু, নুরুল আলম (গোরনখাইন), রতন বড়ুয়া, মনোজ বড়ুয়া, ফরিদুল আলম (বরলিয়া), আবুল বশর চৌধুরী (বারৈকাড়া), বিজয় মহাজন, মো. সোলায়মান (হুলাইন), শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস, আবদুর রশিদ, জাকির হোসেন, নুরুন্নবী (গাছবাড়িয়া), সরওয়ার প্রমুখ। [শামসুল আরেফীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড