গোয়ালগ্রাম আজাহার ফরাজীর বাড়ি যুদ্ধ (দৌলতপুর, কুষ্টিয়া)
গোয়ালগ্রাম আজাহার ফরাজীর বাড়ি যুদ্ধ (দৌলতপুর, কুষ্টিয়া) সংঘটিত হয় ৬ই সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে। যুদ্ধে কয়েকজন পাকসেনা হতাহত হয়। অপরদিকে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ২ জন আহত হন। পাকহানাদার বাহিনী এখানে গণহত্যা চালায় এবং শিশু- বৃদ্ধসহ ১৫ জন নিরপরাধ মানুষ এর শিকার হয়।
দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রামের ফরাজী বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান করছেন রাজাকারদের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে মেহেরপুর জেলার গাংনি উপজেলার বামুন্দি থেকে হানাদার বাহিনী ফরাজী বাড়ি আক্রমণ করে। হানাদার বাহিনী বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে প্রথমেই বাড়ির মালিক তফিল উদ্দিন ফরাজীকে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের না পেয়ে এক পর্যায়ে গণহত্যা চালিয়ে বাড়িতে অবস্থানরত শিশু-বৃদ্ধসহ আরো ১৪ জন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে। এলাকায় অবস্থানরত কমান্ডার মো. আজগর আলীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারদের প্রতিরোধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য হতাহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মমিন শহীদ হন। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ১৯টি গুলির আঘাত পেয়েও মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী এবং নওশের আলী বেঁচে যান। এ-যুদ্ধে উপজেলার গোয়ালগ্রাম, প্রাগপুর, শেহালা, বিলগাথুয়া, মহিষকুণ্ডি, নতুনকাঘাটি নওদাপাড়া, ধর্মদহ, বাজুমারাসহ পার্শ্ববর্তী পাবনা, রাজবাড়ী, মেহেরপুর, ফরিদপুর ও রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেন। [মো. ছাদিকুজ্জামান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড