গোয়ালগ্রাম গণহত্যা (দৌলতপুর, কুষ্টিয়া)
গোয়ালগ্রাম গণহত্যা (দৌলতপুর, কুষ্টিয়া) সংঘটিত হয় ৬ই সেপ্টেম্বর। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ নৃশংস গণহত্যায় ২ বছরের শিশুসহ ১৬ জন মানুষ শহীদ হন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজাকারদের মাধ্যমে খবর পায় যে, দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম ফরাজী বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান করছেন। এ খবর পেয়ে তারা ৬ই সেপ্টেম্বর ঐ বাড়ি আক্রমণ করে। হানাদার বাহিনী বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে প্রথমেই বাড়ির মালিক তফিল উদ্দিন ফরাজীকে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের না পেয়ে তারা গণহত্যা চালায়। বাড়িতে অবস্থানরত শিশু-বৃদ্ধসহ ১৬ জন নিরপরাধ মানুষ এ গণহত্যার শিকার হন। গোয়ালগ্রাম গণহত্যায় শহীদ ১৫ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- তফিল উদ্দীন ফরাজী (পিতা আজাহার আলী ফরাজী), ওয়াজেদ আলী মিয়া, আব্দুল হামিদ, মিয়াতন নেছা (স্বামী তফিল উদ্দীন ফরাজী), মালতি খাতুন (পিতা তফিল উদ্দীন ফরাজী), শাহিদা খাতুন (পিতা তফিল উদ্দীন ফরাজী), ছালেহা বেগম (পিতা মহব্বত আলী), আহাতন নেছা (পিতা গোলবার আলী), জিন্নাত আলী (পিতা রহমত আলী), রব্বান আলী (পিতা আদালত আলী), সিরাজুল ইসলাম (পিতা কোকিল উদ্দীন শাহ), পঁচা শাহ (পিতা মালেক উদ্দীন শাহ), কাইমদ্দীন শাহ (পিতা কালা চাঁদ শাহ), আমেনা বেগম (স্বামী কাইমদ্দীন শাহ্) ও জাহেরা বেগম (স্বামী সানাউল্লাহ শাহ)। শহীদদের স্মরণে গোয়ালগ্রাম বধ্যভূমিতে নামসহ একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। [মো. ছাদিকুজ্জামান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড