You dont have javascript enabled! Please enable it!

গুমাই বিল বিদ্যুৎ টাওয়ার অপারেশন (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম)

গুমাই বিল বিদ্যুৎ টাওয়ার অপারেশন (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম) ১৪ই আগস্ট পরিচালিত হয়। এতে ৩টি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার ধ্বংস হয়।
অপারেশন এলাকায় আসার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর বিশেষ দায়িত্ব ছিল কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী পেপার মিল বিস্ফোরকের সাহায্যে ধ্বংস করা। এলাকায় এসে মুক্তিযোদ্ধারা পূর্বে আগত ছালেহ আহমদ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হন এবং একই শেল্টারে অবস্থান নেন। তাঁরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ধ্বংস করবেন। তখন কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তিনটি স্তর। ১৪ই আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের দিন রাত ১টার দিকে গুমাই বিলের মাঝখানে প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ দিয়ে পরপর তিনটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার উড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রত্যেক টাওয়ারের জন্য ছালেহ আহমদ, আমীন শরীফ ও নায়েক আবুল কাশেমের তত্ত্বাবধানে তিনটি দল টাওয়ারের গোড়ায় মাটি খুঁড়ে টাওয়ারের চারদিকে বিস্ফোরক ও ডেটনেটর ফিট করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পরিকল্পনা অনুয়ায়ী নির্দিষ্ট সময়ে টাওয়ার তিনটিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেগুলো ধ্বংস করে দেন। ফলে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। এ অপারেশনে অংশ নেন- অপারেশন কমান্ডার নূরুল আলম, ছালেহ আহমদ গ্রুপ কমান্ডার, আমিন শরীফ গ্রুপ কমান্ডার, নায়েক আবুল হাসেম গ্রুপ কমান্ডার, আবু তাহের, সুজন বড়ুয়া, ধনাঢ্য বড়ুয়া, তিমির আইচ, বাদশা আলম, শংকর সাহা, শ্যামল, হেমন্ত দাশ, নাজিম উদ্দিন, আবুল হাসেম, আব্দুল কাদের, দানু মিঞা প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা। [জগন্নাথ বড়ুয়া]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!