You dont have javascript enabled! Please enable it! মুক্তিযুদ্ধে গাবতলী উপজেলা (বগুড়া) - সংগ্রামের নোটবুক

মুক্তিযুদ্ধে গাবতলী উপজেলা (বগুড়া)

গাবতলী উপজেলা (বগুড়া) বগুড়া জেলা সদর থেকে ১০ কিমি পূর্বদিকে অবস্থিত। ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভ করেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে অসহযোগ আন্দোলন-এ সারাদেশের ন্যায় গাবতলী থানার সর্বস্তরের মানুষও সাড়া দেয়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এলাকায় মিছিল-মিটিং- এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দুর্গাহাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঞ্জীবন রায়সহ প্রবীণরা স্থানীয় যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন।
বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ এর পর এলাকার ছাত্র- যুবকগণ স্থানীয় সেনা-সদস্যদের নিকট লাঠি ও ডামি বন্দুকের সাহায্যে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। প্রথমে তারা বগুড়া শহরের করোনেশন স্কুল ও সেন্ট্রাল স্কুলে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেয়। সেখানে স্থানীয়ভাবে রাইফেল ও থ্রি-নট-থ্রি অস্ত্র খোলা, লাগানো ও গুলি ভরার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ১৫- ২০ দিন এ প্রশিক্ষণ চলে। এরপর গাবতলী স্কুলে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। যুদ্ধ শুরু হলে এখানকার অনেক মুক্তিযোদ্ধা ভারতে গিয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ রেজাউল করিম মন্টুসহ অনেকেই ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে দেশে ফিরে অন্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। গাবতলী থানায় যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডারগণ ছিলেন আব্দুল আজিজ রঞ্জু, হুমায়ুন আলম চান্দু, আমিনুল মোমিন মুক্তা, রবিউল করিম, মোস্তাফিজুর রহমান পোটল, আলমগীর রহমান আলম, মমতাজ উদ্দিন, খাজা নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
২৫শে মার্চ সকালে পাকসেনারা বগুড়ায় আসবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে জনগণ এদিন রাত থেকে গাবতলী থানার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বগুড়া শহরের নিকটবর্তী হওয়ায় স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম থেকেই গাবতলীর ছাত্র-যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পাকসেনাদের প্রতিরোধে অংশ নেয়। ২৬শে মার্চ পাকসেনারা শহরের মহিলা কলেজ ও ওয়াপদা রেস্ট হাউজে অবস্থান নিলে শহরের যুবকদের সঙ্গে গাবতলীর যুবকরাও প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেয়। ২৭শে মার্চ সন্ধ্যায় গাবতলী থেকে পিন্টু ও মালেক সরকারের নেতৃত্বে কয়েক হাজার লোকের লাঠি মিছিল বগুড়া শহরে প্রবেশ করে।
২৭শে এপ্রিল পাকবাহিনী গাবতলী থানায় অনুপ্রবেশ করে এবং সিও অফিসে ক্যাম্প স্থাপন করে। তারা মুসলিম লীগ-এর নেতা-কর্মী ও তাদের দোসরদের সহযোগিতায় গ্রামে-গ্রামে গিয়ে স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ হত্যা, লুণ্ঠন ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
রাজাকার কমান্ডার ডা. আব্দুর রউফ (পিতা এ্যানো মুন্সি; মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত)-এর নেতৃেত্বে গাবতলী থানায় ৮১ সদস্য বিশিষ্ট রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়।
উপজেলার উল্লেখযোগ্য রাজাকাররা হলো- সিরাজুল হক তালুকদার (কলাকোপা), মোজাম্মেল হক (চেয়ারম্যান, নশিপুর ইউনিয়ন; মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত), খয়বর আলী (সুলতানগঞ্জ), নবাব আলী প্রামাণিক লবো (চাকলা, মুসলিম লীগ কর্মী; মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত), শমসের আলী তরফদার (দড়িপাড়া), বাচ্চু (সোনারায়) প্রমুখ। এরা পাকসেনাদের বিভিন্ন অপকর্মে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে। এদের নেতৃত্বে থানার বিভিন্ন এলাকায়ও রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়।
সেপ্টেম্বর মাসে হানাদাররা আকন্দপাড়ায় ৫ জনকে হত্যা করে, যা আকন্দপাড়া গণহত্যা নামে পরিচিত। গাবতলী থানায় পাকসেনারা ৩০শে নভেম্বর তাদের দোসর ও রাজাকারদের সহযোগিতায় বাইগুনী গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় কয়েকজনকে হত্যা করে তাদের বাড়িঘড়ে অগ্নিসংযোগ করে, যা বাইগুনী গণহত্যা নামে পরিচিত। তারা জয়ভোগা গ্রামের নারুয়া মালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাত্তার সরকারসহ পরিবারের ৩ জনকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। তারা তরফ সরতাজ গ্রামের মন্তেজার রহমানকে হত্যা ও তার বাড়ি এবং লাঠিগঞ্জের চকসদু গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রসুলের বাড়িতে আগুন দেয়। ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে কাগইল জমিদার বাড়িতে পাকসেনারা ১২ জনকে একসঙ্গে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এটি কাগইল জমিদার বাড়ি গণহত্যা নামে পরিচিত। এছাড়া কদমতলা, নারুয়ামালা, কেশবের পাড়া, রামেশ্বরপুর, হামিদপুর, চাকলা গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি এবং কালাইহাটা গ্রামের আব্বাছ উদ্দিন মাস্টারের (থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি) বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ পার্শ্বে পাকসেনাদের নির্যাতনকেন্দ্রে মমতাজ উদ্দিন (তরফ সরতরাজ), ডা. অমিয় কুমার (জয়ভোগা), আব্দুল ওয়াহাব (জয়ভোগা), লাল মিয়া (উনচুরকি), দিনবন্ধু রাজভার, মন্তেজার রহমানসহ কয়েকজনকে ধরে এনে হত্যা করা হয়।
গাবতলী থানার সিও অফিস ক্যাম্প ছিল পাকসেনাদের নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির। তাদের দোসর দালাল ও রাজাকারদের সহযোগিতায় তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ধরে এনে হত্যা করে ক্যাম্পের ভেতরের ইঁদারায় ফেলে দিত। সুখানপুকুর রেল লাইনের কাছে নতুনপাড়া এবং কাগইল জমিদার বাড়িতে গণকবর রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা মিজবাহুল মিল্লাত (নান্না), ডা. এম জহুরুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ, ডা. মতিয়ার রহমান, গোলাপ মিয়া, ডা. আব্দুল করিম, খলিলুর রহমান, হামিদুল হক ফটিক, আমিনুল হক দুলাল, নান্টু মিয়া, রেজাউল করিম এবং বদরুল আলম ২রা আগস্ট কালাইহাটা ক্যাম্প থেকে নৌকায় করে ধুনট থানা আক্রমণ করেন। এখানে ৭ জন পাকসেনা আত্মসমর্পণ করে।
যুদ্ধের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধারা ভেলুরপাড়া স্টেশনের দক্ষিণে চকচকিয়া রেলব্রিজটি বিস্ফোরক দিয়ে ধ্বংস করে দেন। ১৩ই নভেম্বর তাঁরা সুখানপুকুর রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেলের ৩টি বগি ধংস করেন, যা সুখানপুকুর রেললাইন অপারেশন নামে পরিচিত। এ অপারেশনের ফলে বগুড়ার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম জহুরুল ইসলাম, মিছবাহুল মিল্লাত (নান্না), ডা. আব্দুল করিম, আব্দুল লতিফ, আকবর আলী আকন্দ, রেজাউল করিম শাহজাহান, বদরুল আলম, রেজাউল করিম, ফারুক হোসেন, আবুল কালাম আজাদ এবং স্থানীয় সহযোগী মর্তেজা আলী মজনু, ছায়েদ আলী, আব্দুল কুদ্দুছ শুকু মেম্বার প্রমুখ গাবতলীর পশ্চিমে চকবোচাই গ্রামে বিলবাইশা রেলব্রিজ ও চান্দাপাড়া পাকাব্রিজে অপারেশন চালান। তাঁরা কালাইহাটা থেকে নৌকায় করে গিয়ে এক্সপ্লোসিভ দিয়ে ব্রিজদুটি ধ্বংস করেন।
মুক্তিযোদ্ধা মিছবাহুল মিল্লাত (নান্না), ডা. এম জহুরুল ইসলাম, ডা. আব্দুল করিম, আব্দুল লফিত, আকবর আলী আকন্দ, বদরুল আলম, ফারুক হোসেন, রেজাউল করিম, আবুল কালাম আজাদ, গোলাপ মিয়া, আবু তালেব ও সাইফুল ইসলাম সোশানকান্দী গ্রামে এক দালালকে ধরতে গেলে পাকসেনাদের এম্বুশের মধ্যে পড়েন। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে আবু তালেব ও সাইফুল ইসলাম নামে দুজন মুক্তিযোদ্ধা পাকসেনাদের হাতে ধরা পড়েন। নভেম্বর মাসের শেষদিকে মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ন আলম চান্দু, মো. আলমগীর হোসেন, মো. রেজাউল কবির প্রমুখ থানার পূর্ব পাশের সারিয়াকান্দী রাস্তায় জয়ভোগা অপারেশন চালান। এ অপারেশনে জয়ভোগা রেলওয়ে ব্রিজ হানাদারমুক্ত হয় এবং পাকসেনারা গাবতলী ক্যাম্পে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এ- সময় কয়েকজন গ্রামবাসী নিহত হয়।
সুখানপুকুরের কেশবের পাড়া ঈদগাহ মাঠে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাকসেনারা পিছু হটে পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ-যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন, ডা. এম জহুরুল ইসলাম, গোলাম জাকারিয়া খান (রেজা), আনোয়ার হোসেন (ফিরোজ), ডা. আব্দুল করিম, হাফিকার রহমান ও জুলফিকার হায়দার (বুলু) অংশগ্রহণ করেন। গাবতলীর দক্ষিণে ক্ষিদ্রপেরীতে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের “সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এখানে ২ জন পাকসেনা নিহত হয়, অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা মতিউল ইসলাম মিন্টু আহত হন। যুদ্ধে আমিরুল মোমেনিন (মুক্তা), আব্দুল হামিদ (চান), আব্দুল জলিল, খাদেমুল ইসলামসহ ২১ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। সোনাতলার উত্তরে রেললাইনের পাশে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ-যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন, ডা. এম জহুরুল ইসলাম, জুলফিকার হায়দার (বুদু), আনোয়ার হোসেন (ফিরোজ), ডা. আব্দুল করিম, হাফিজার রহমান এবং গোলাম জাকারিয়া খান (রেজা) অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টুর নেতৃত্বে চকচকিয়া ব্রিজের যুদ্ধে একজন পাকসেনা নিহত হয়। আগস্টের মাঝামাঝি টি এম মুসা পেস্তার গ্রুপসহ ৭টি মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ পাকসেনাদের বাধা দেয়ার জন্য কলেজ স্টেশন ও ভেলুর পাড়ার মাঝখানে ঢনঢনে ব্রিজটি এক্সপ্লোসিভ দিয়ে ধ্বংস করে দেন। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাঙালিরা যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখন দাড়াইল ভাতঘড়ায় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। ঐদিন পাকসেনাদের একটি দল নাড়ুয়ামালার দিক থেকে পথ ভুল করে ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে-ছুঁড়তে তারাদাড়াইল ভাতঘড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। যুদ্ধে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। এ-সময় নারুয়ামালা রেলব্রিজ আক্রমণ করে ৩ রাজাকারকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়।
গাইবান্ধায় আত্মসমর্পণের পর কিছু পাকসেনা পায়ে হেঁটে বগুড়ার দিকে চলে আসে। পথ ভুল করে তারা মহিমাগঞ্জ সোনাতলা হয়ে গাবতলীর পাঁচমাইল এলাকার টোড়াগ্রামে প্রবেশ করে এবং মহিলা ও শিশুসহ ৩ জনকে হত্যা করে। এ-সময় মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসীর হাতে ৩ জন পাকসেনা নিহত হয়। ১৫ই ডিসেম্বর গাবতলী থানা হানাদারমুক্ত হয়। উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মেজর জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম- (পিতা মনসুর রহমান মণ্ডল, বাগবাড়ি), হাবিলদার মো. কামরুজ্জামান খলিফা, বীর বিক্রম – (পিতা শরাফত উল্লাহ, সোনামোয়া, বালিয়াদিঘী) ও জামিল ডি-আহসান, বীর প্রতীক- (পিতা মো. জসিম উদ্দিন, নেপালতলী)।
গাবতলী উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- আব্দুস সাত্তার (পিতা মুহাম্মদ মুন্সী, বটিয়াডাঙ্গা, দুর্গাহাটা), ওসমান গনি (পিতা দানেশ উদ্দিন, সালুকগারী, নেপালতলী), জাহিদুর রহমান বাদল (পিতা মোস্তাফিজার রহমান দুদু, উনচুরখী), আব্দুল মান্নান (পিতা হাফিজার রহমান, মড়িয়া, মহিষাবান), কাজী আব্দুল মান্নান (পিতা কাজী জসিম উদ্দিন, নেপালতলী), মাফুজার রহমান (পিতা তোসাদ্দেক হোসেন খান, জাইগুলী), কমর উদ্দিন (পিতা সরাব আলী, কালাইহাটা, বালিয়াদিঘী) ও হাবিলদার কামরুজ্জামান (পিতা সরাব আলী, সোনামোয়া, বালিয়াদিঘী)।
উপজেলার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন— সিরাজুল ইসলাম (পিতা মোসলেম উদ্দিন, বাহাদুরপুর, নাড়ুয়ামালা) ও ইউনুস উদ্দিন (পিতা গোলাম উদ্দিন, জাতহলিদা, নেপালতলী)। [তানসেন আলম]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড