গজালিয়া সুইজ গেইট গণহত্যা (বটিয়াঘাটা, খুলনা)
গজালিয়া সুইজ গেইট গণহত্যা (বটিয়াঘাটা, খুলনা) সংঘটিত হয় ২৮শে সেপ্টেম্বর। এতে একজন মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০ জনের অধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। বারোআড়িয়া গ্রামের নদীর অপর পাড়ে গাওঘরা গ্রাম। বারোআড়িয়া রাজাকার- ক্যাম্পের কমান্ডার হাতেম আলী, গাওঘরা রাজাকার ক্যাম্পের কমান্ডার শেখ আরশাদ আলী ও রাজাকার হাবিবুর রহমান জমাদ্দার হাবু (কল্যাণশ্রী), মহুয়া খান বুলবুল (কাতিয়নাংলা), হাতেম আলী (কোদলা) ও এখলাসের (হাটবাড়ি) নেতৃত্বে এ এলাকায় লুটতরাজ, অগ্নিকাণ্ড, নারীনির্যাতন এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এক রাতে গাওঘরা গ্রামের গজালিয়া সুইজ গেইটের কাছে নদীর তীরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হালিমসহ ১০ জনের অধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। রাজাকার শহর আলী সরদার, আশরাফ আলী, হাবিবুর রহমান জমাদ্দার, হাবিল সেখ (সুরখালি), রসিক গাজী, আতিয়ার রহমান, মতিয়ার রহমান, আব্দুল মজিদ (গাওঘরা), রহিম শেখ, শাহজাহান আলী, আবু সরদার, আফসার আলী, শাখদার বিশ্বাস প্রমুখ এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
গজালিয়া সুইজ গেইট গণহত্যায় নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, তারা হলেন- আব্দুল হামিদ সরদার (পিতা ডা. আব্দুল ওহাব সরদার, সুরখালি), আব্দুস সাত্তার সরদার (পিতা মো. ইমান আলী সরদার, সুরখালি), ইরান উদ্দিন মোল্লা (পিতা গহর মোল্লা, সুরখালি), আব্দুল করিম শেখ (পিতা মোসলেম শেখ, রায়পুর), গোবিন্দ অধিকারী (পিতা মণিন্দ্রনাথ অধিকারী, কল্যাণশ্রী, ছত্রবিলা), ওমর গাজী (পিতা গোপাল গাজী, কল্যাণশ্রী, ছত্রবিলা), গোষ্ঠবিহারী ভদ্র (পিতা সুনীল ভদ্র, খড়িয়াল), সুশীল ভদ্র (পিতা দেবেন্দ্রনাথ ভদ্র, খড়িয়াল) ও ইব্রাহিম গাজী (পিতা আদেল গাজী, সুরখালি)। [শংকর কুমার মল্লিক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড