You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.11.07 | খাগরকুড়ি গণহত্যা (নওগাঁ সদর) - সংগ্রামের নোটবুক

খাগরকুড়ি গণহত্যা (নওগাঁ সদর)

খাগরকুড়ি গণহত্যা (নওগাঁ সদর) সংঘটিত হয় ৭ই নভেম্বর। এতে ৩২ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
ঘটনার দিন পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার বাহিনী খাগরকুড়ি গ্রামে প্রবেশ করে নিরস্ত্র নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা করে। তারা গ্রামে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এদিন পাকসেনা, রাজাকার মিলিশিয়াদের আক্রমণে যে-সকল নারী-পুরুষ শহীদ হন, তারা হলেন— পুলিন মণ্ডল, মোহাম্মাদ মণ্ডল, মঙ্গলা মণ্ডল, বাদেশ আলী, মফের আলী মণ্ডল, বাদেশ আলী মণ্ডলের স্ত্রী খাতেজান বিবি, শুকুর আলী মণ্ডলের স্ত্রী ফাতেমা বিবি, করিম মণ্ডল, মান্নান, মংলা মণ্ডলের স্ত্রী গুলিজান, ময়েন মণ্ডলের স্ত্রী আছিরণ, অনোয়ার, মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেওয়া, হাফিজ উদ্দিনের স্ত্রী কায়জান, চুনাই ফকিরের স্ত্রী বুলমুন বেওয়া, এনায়েতপুরের তছির উদ্দিন, মেহের আলী মণ্ডল, মোজাম উদ্দিন, বোয়ালিয়ার বাদেশ সরদার, এব্রাহিম, আহম্মদ আলী যাদু মণ্ডল, কাদের সরদার, বশিপুরের অছির মণ্ডল, মোহাম্মাদ আলী মণ্ডল, জামাল উদ্দিন, বোয়ালিয়া উত্তর পাড়ার মোবারক আলী, চয়েন উদ্দিন, মফিজ প্রামাণিক, যাদব সরদার, বোয়ালিয়ার কাবিল সরদার, জসমত ও আলিম প্রামাণিক। শহীদদের খাগরকুড়িতেই সমাহিত করা হয়। নভেম্বর মাসে জাফরাবাদ গ্রামের পাঁচ ব্যক্তিকে পাকবাহিনী হত্যা করে। শহীদরা হলেন- দিলবর মণ্ডল, বেগম দিলবর মণ্ডল, আদম মণ্ডল, ইছব মণ্ডল ও অছির ফকির। [আইয়ুব হোসেন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড