You dont have javascript enabled! Please enable it!

খাজুরা যুদ্ধ (বাঘারপাড়া, যশোর)

খাজুরা যুদ্ধ (বাঘারপাড়া, যশোর) সংঘটিত হয় ৭ই ডিসেম্বর। এতে ৭ জন ভারতীয় সৈনিক ও ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং মিত্রবাহিনীর একজন অফিসার গুরুতর আহত হন। অপরপক্ষে অনেক রাজাকার ও পাকসেনা নিহত হয়।
৬ই ডিসেম্বর যশোরের পতনের পর ৭ই ডিসেম্বর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনী যৌথভাবে খাজুরায় রাজাকার বাহিনীকে আক্রমণ করে। রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত যুদ্ধ চলে। তবুও রাজাকার ক্যাম্পের পতন ঘটানো সম্ভব হয়নি। ফলে এ স্থান থেকে দুমাইল দূরের লেবুতলায় অবস্থিত মিত্রবাহিনীর ক্যাম্প থেকে সৈনিকরা এসে রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ চালান। প্রায় দুঘণ্টা যুদ্ধের পর তারা রাজাকারদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। তাদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। রাজাকাররা চালাকি করে বাংকারের ভেতর থেকে ‘জয় বাংলা’ বলে চিৎকার করলে মিত্রবাহিনীর কিছু সৈনিক স্কুল মাঠে ঢুকে পড়েন। এ-সময় রাজাকাররা বাংকার থেকে তাদের ওপর গুলি করলে ৭ জন ভারতীয় সৈনিক শহীদ হন। মিত্রবাহিনীর একজন অফিসার গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে মিত্রবাহিনী ট্যাংক বহর নিয়ে রাজাকারদের ক্যাম্পে হামলা চালায়। কামানের গোলায় দোতলা ভবনের পশ্চিম পাশের চারটি কক্ষ ধ্বংস হয়ে যায়। রাজাকার ক্যাম্পে বেশ কয়েকজন পাকসেনাও ছিল। এ-যুদ্ধে লিয়াকত, হাবিব, ফসিয়ার, আলী আহমদ-সহ অনেক রাজাকার ও পাকসেনারাও নিহত হয়। অপরপক্ষে ৭ জন মিত্রসেনাসহ ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মিত্রবাহিনীর শহীদদের খাজুরা বাসস্ট্যান্ডের পাশে সমাহিত করা হয়। ৮ই ডিসেম্বর দুপুরে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী স্কুল মাঠে বিজয় পতাকা উত্তোলন করে। [মো. হাবিবুর রহমান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড